বাসস ক্রীড়া-১২ : শুরুতেই উইকেট নেয়া হবে ভারতের বিপক্ষে সাফল্যের চাবিকাঠি

192

বাসস ক্রীড়া-১২
ক্রিকেট-বিশ্বকাপ-বাংলাদেশ-ভারত-উইকেট
শুরুতেই উইকেট নেয়া হবে ভারতের বিপক্ষে সাফল্যের চাবিকাঠি
ঢাকা, ৩০ জুন, ২০১৯ (বাসস) : ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে শুরুতেই প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ সেমি-ফাইনালের দৌঁড়ে টিকে থাকার জন্য এটি হবে টাইগারদের জন্য ‘বাঁচা মরার লড়াই’। এমনটিই মনে করেন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
ভারতের কাছে হেরে গেলেই যে বাংলাদেশ দলের সব সুযোগ একেবারেই শেষ হয়ে যাবে, তা নয়। তবে সে ক্ষেত্রে টাইগারদের সামনে চলে আসবে নানা সমীকরণ। আগামী ২ জুলাই বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ৫ জুলাই লর্ডসে আরেকটি বাঁচা মরার লড়াইয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ইতোমধ্যে আফগানিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার সুযোগ জিইয়ে রেখেছে পাকিস্তানীরাও।
নান্নু বলেন, ‘ম্যাচের জয়ের সুযোগ সৃস্টি করতে হলে আমাদের অবশ্যই শুরুতে উইকেট নিতে হবে।’
ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের মূল শক্তি শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল ও বিরাট কোহলিকে যদি আগেভাগেই ফিরিয়ে দেয়া যায়, তবে সমস্যায় পড়তে পারে ভারত। অন্তত অতীতের ম্যাচে তেমনটিই প্রমাণিত হয়েছে। এই বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত এই তিন শীর্ষ ব্যাটসম্যানকে সে রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। প্রতিটি ম্যাচেই বড় সংগ্রহ দাঁড় করেছে তারা।
সর্বশেষ দুই ম্যাচে ভারতীয় দুই ওপেনার ভাল সুচনা করতে না পারলেও অধিনায়ক কোহলি সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত কোন সেঞ্চুরি পাননি তিনি। যেটি তার জন্য বিরল একটি ঘটনা। চার ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে হাফ-সেঞ্চুরি করলেও একটি সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করছেন কোহলি।
বাস্তবতা হচ্ছে ভারতীয় ওপেনাররা যদি প্রথম দশ ওভার টিকে যায়, তবে প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় দলটি। অপরদিকে বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা হচ্ছে বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত প্রথম দশ ওভারে তেমন কোন কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারেনি বোলাররা। আসরের ছয় ম্যাচে অংশ নিয়ে শুধুমাত্র গত ৫ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ১০ ওভারে এক উইকেট নিতে পেরেছে টাইগাররা।
নান্নুর মতে ভারতের বিপক্ষে এমন পরিস্থিতি হলে তার চরম মুল্য দিতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে রোহিত শর্মা যদি টিকে যান। বাংলাদেশের এই প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘তাদের ওপেনারদের কোনভাবেই থিতু হতে দেয়া যাবেনা। একবার যদি তারা থিুতু হতে পারে, তাহলে পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের জন্য অসাধারণ একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দেবেন তারা। সেটি যদি হয় তাহলে ম্যাচটি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে।’
গত ২৮ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অনুশীলন ম্যাচ থেকে কিছুটা প্রেরণা পেতে পারে বাংলাদেশ। নতুন বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান ফিরিয়ে দিয়েছিল শিখর ধাওয়ানকে। যিনি বর্তমানে ইনজুরিতে রয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি পেস ও সুইং বল দিয়ে সমস্যায় ফেলেছিলেন কোহলি ও শর্মাকে। তবে টুর্নামেন্টে তার ধারাবাহিকতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। নান্নুর মতে, মুস্তাফিজ যদি বোলিংয়ের সূচনা করেন, তাহলে অবশ্যই অনুশীলন ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে হবে।
তার কাছ থেকে কোন খারাপ বল আসলে সেটিকে শায়েস্তা করতে মোটেও পিছ পা হবেন না অনুশীলন ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শর্মা ও রাহুল।
বাসস/এসএমপি/এমএইচসি/১৮০০/স্বব