বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল চীন সফরে যাবেন

192

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-চীন সফর
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল চীন সফরে যাবেন

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভা ভিত্তিক একটি সংগঠন এবং ১৯৭১ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর জন্ম। এটি ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সুইস ফেডারেল সরকারের আইনে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি পায়।
ডব্লিউইএফ’র লক্ষ্যে বলা হয়েছে এটি বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহকে ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সমাজের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং শিল্প খাতকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে গঠিত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন গত শুক্রবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ৫ দিনের সরকারী চীন সফরে রোহিঙ্গা সমস্যাটিই আলোচনার মুখ্য বিষয়বস্তু হবে এবং এই সময়ে ঢাকা এবং বেইজিং এর মধ্যে আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রীর সফরকালিন রোহিঙ্গা ইস্যুটি আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এররপরে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে (তাদের প্রত্যাবাসনে) বেইজিং একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
শুক্রবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াং’র আমন্ত্রণে চীন সফর এবং সেখানে তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিবেন এবং সফরকালে শেখ হাসিনা বেইজিং এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াং এবং প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, চীনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চীনের কাছে জোর দাবি পেশ করবে যাতে করে চীন এ বিষয়ে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে চরমপহ্না ছড়িয়ে দিতে পারে মর্মে বাংলাদেশ বিষয়টি চীন সরকারের কাছে তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং চীন অর্থনৈতিক, বিদ্যুৎ, তথ্য প্রযুক্তি এবং পর্যটন সহ বিভিন্ন খাতে এই সময়ে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
এগুলো হচ্ছে-১. ডিপিডিসি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহের সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালীকরণে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি।
২. গভমেন্ট কনসেশনাল লোন এগ্রিমেন্ট অব এক্সপানশন এন্ড ষ্ট্রেন্দেনিং অব পাওয়ার সিষ্টেম টেওয়ার্ক আন্ডার ডিডিডিসি এরিয়া প্রোজেক্ট।
৩. প্রেফারেন্সিয়াল বাইয়ার্স ক্রেডিট লোন এগ্রিমেন্ট অব এক্সপানশন এন্ড স্ট্রেন্দেনিং অব পাওয়ার সিষ্টেম আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া প্রজেক্ট।
৪. ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অব পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক ষ্ট্রেন্দেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি প্রোজেক্ট।
৫.এগ্রিমেন্ট অন ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন বিটউইন দি গভার্নমেন্ট অব দি পিপল’স রিপাবলিক অব বাংলাদেশ এন্ড গভার্নমেন্ট অব দি পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না।
৬. মেমোর‌্যান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) অন দি এশট্যাবলিশমেন্ট অব ইনভেষ্টমেন্ট কোঅপারেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ।
৭. এমওইউ এন্ড ইঁস ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান অন হাইড্রোলজিক্যাল ইনফর্মেশন শেয়ারিং অব ইয়ালু জাংবো/ব্রন্মাপুত্রা রিভার।
৮ সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পর্যটন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/১৮১৫/-আসচৌ