হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার বিচার কাজ শিগগিরই শেষ হবে : প্রসিকিউশন

518

ঢাকা,৩০ জুন, ২০১৯ (বাসস) : হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার কাজ শিগগিরই শেষ হবে।
উল্লেখ্য, গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ন্যাক্কারজনক এই সন্ত্রাসী হামলার তিন বছর পূর্তি হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। ২০১৬ সালের ১জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এ হামলার মামলায় বিচারকাজ শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।
এ মামলাটির পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বাসস’কে বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের পর গত সাত মাসে এই মামলায় মোট ৬০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষী নির্ধারিত তারিখে আদালতের হাজির হচ্ছে এবং আমরা আশা করছি এই মামলাটি শিগগিরই নিষ্পত্তি করা হবে।’
প্রসিকিউটর বলেন, আমরা আশাবাদী যে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন নিহত হন। পরদিন ভোরে যৌথবাহিনী ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ড’ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দেশি-বিদেশি ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।
হামলার পর দিন ভোরে হলি আর্টিজানে পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত ৫ জঙ্গি হলো রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। এরপর বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় ৮ জঙ্গি। তারা হলো তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব) জাহিদুল ইসলাম মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।ঘটনার পর গুলশান থানার ওসি সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধী, রকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিছুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করে।