উত্তর কোরিয়ায় প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদার্পন

486

পানমুনজোম, (দক্ষিণ কোরিয়া), ৩০ জুন, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার উত্তর কোরিয়ায় পা রেখেছেন। এই প্রথম কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেশটির মাটিতে পা রাখলেন। একে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবেই দেখা
হচ্ছে।
ট্রাম্প দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়াকে বিভক্তকারী অসামরিকীকরণ এলাকায় (ডিএমজেড) উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। বিভক্তকারী রেখা অতিক্রম করে হেঁটে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ভেতর কয়েক কদম এগিয়ে যান এবং আবারো কিমের সঙ্গে করমর্দন করেন।
এরপর উভয় নেতা একসঙ্গে সিউল এলাকায় ফিরে আসেন এবং ছবির জন্যে পোজ দেন। এ সময়ে তাদের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন যোগ দেন।
ট্রাম্প বলেন, বিশ্বের জন্যে এটি একটি মহান দিন এবং এখানে আসাটাও আমার জন্যে সম্মানের।
এর আগে ট্রাম্প শনিবার জাপানের ওসাকা থেকে টুইটার বার্তায় ঐতিহাসিক করমর্দনের জন্যে সাক্ষাত করতে পিয়ংইয়ংয়ের নেতা কিম জং উনকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি এটিকে তার স্বত:স্ফূর্ত প্রস্তাব হিসেবে উল্লেখ করেন।
এই দুই নেতা ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামে শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। এরপর এখন আবার উভয়ের সাক্ষাত ঘটেছে। এটি তাদের তৃতীয় সাক্ষাত। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের লক্ষ্যে এর আগে তারা সিঙ্গাপুরে শীর্ষ সম্মেলন করেন।
টুইটা বর্তায় ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সুন হুইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছিল, ‘আমরা এটিকে খুবই চমৎকার প্রস্তাব হিসেবে দেখছি। কিন্তু আমরা এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব পাইনি।’
এর পর ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলে আজ রোববার উভয়ের মধ্যে এ করমর্দন ও সাক্ষাত হয়।
এদিকে ট্রাম্প ও কিম সিঙ্গাপুর ও হ্যানয়ে শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হলেও উত্তর কোরিয়ার পরমানু কেন্দ্রিক সংকট উত্তরনে তেমন কোন সফলতা আসেনি। তাই ট্রাম্পের এ আকস্মিক সফর সংকট সমাধানে কোন প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জসুহা পুলাক এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, সংকট সমাধানের জন্যে এক পৃষ্ঠার চিঠি ও আরো একটি করমর্দনের চেয়েও দরকার বেশি কিছু।
ইয়নসেই ইউনিভার্সিটির জন ডিলারি বলেন, ট্রাম্প এবং কিম বৈঠক করে যদি অন্তর্বতী কিছু চুক্তির কথা ঘোষণা করতেন তবে সেটিই হতো চমৎকার।