পৃথিবীর ৫০টি দেশে মৎস্য রপ্তানী করা হচ্ছে : মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

320

সংসদ ভবন, ৩০ জুন, ২০১৯ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ৫০টি দেশে মৎস্য ও মৎস্যজাতপণ্য রপ্তানী করে ৩ কোটি ৮৪৫ কোটি আয় করেছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগরের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, রাশিয়ার দেশসমূহ বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যজাতপণ্যের প্রধান আমদানীকারক দেশ।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের গত জুলাই থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬৮ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন মৎস ও মৎস্যজাতপণ্য রপ্তানী করে প্রায় ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এরমধ্যে ৩১ হাজার ১৫৮ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানী করে ২ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা এবং ৩৫ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন ফিনফিস রপ্তানী করে ৮৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে মোট উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, দেশের জিডিপি’র ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি’র প্রায় এক চতুর্থাংশের বেশি (২৫.৩০ শতাংশ) মৎস খাতের অবদান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ি দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম। ফলে মাথাপিছু মাছের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।