বাজিস-১০ : টিকাদানে চট্টগ্রাম বিভাগের মডেল উপজেলা হাটহাজারী

296

বাজিস-১০
টিকাদান-মডেল উপজেলা
টিকাদানে চট্টগ্রাম বিভাগের মডেল উপজেলা হাটহাজারী
চট্টগ্রাম, ২৯ জুন, ২০১৯ (বাসস) : চট্টগ্রাম বিভাগের একশটি উপজেলার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাকে শতভাগ টিকাদানের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচির জন্য এই উপজেলাকে বিভাগের মডেল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর আজ জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হাটহাজারী উপজেলার শূন্য থেকে ২৪ মাস বয়সি শতভাগ শিশু ইপিআই কর্মসুচির আওতায় এসেছে। এ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৩৬১টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ২১ হাজার শিশুকে টিকা দেয়া হয়।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন জানান, এক সময় শিশুর জন্মের পর ও বাড়ন্ত সময়ে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা পঙ্গুত্ব বরণ করা ছিলো একটি নিয়মিত ঘটনা। তবে বর্তমানে দেশে টিকাদান কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে অনেক সংক্রামক রোগই এখন বিলুপ্তির পথে। এরই ধারাবাহিকতায় মডেল প্রকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের একশটি উপজেলার মধ্যে হাটহাজারীকে শতভাগ টিকাদানের আওতায় আনা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, গত ২৪ বছরে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে ৭৩ শতাংশ। বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালে টিকাদান কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৫ সালের জরিপে দেখা যায়, ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের পূর্ণ টিকা প্রাপ্তির হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সময়ের পরিক্রমায় সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্যোগে এখন টিকাদানের হার ৮২ শতাংশের বেশি।
তিনি বলেন, ‘টিকাদানে হাটহাজারী উপজেলায় শতভাগ সফলতা অর্জন প্রশংসনীয়। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রামের অন্য উপজেলাগুলোকেও শতভাগ টিকাদানের আওতায় আনা হবে।’
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ইপিআই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সফল কর্মসূচী।এটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। শিশুদের জীবনরক্ষাকারী এ কর্মসূচী অতি জনগুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘টিকাদানে হাটহাজারী উপজেলায় শতভাগ সফলতা অর্জন যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি চট্টগ্রাম বিভাগের মডেল উপজেলা হিসেবে এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
বাসস/জিই/এসকেবি/১৯৩০/এমকে