বাসস দেশ-৯ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাঙ্গালীর পরিচয় বদলে দিয়েছেন : ড. হাছান মাহমুদ

149

বাসস দেশ-৯
তথ্যমন্ত্রী-আওয়ামী লীগ-পরিচয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাঙ্গালীর পরিচয় বদলে দিয়েছেন : ড. হাছান মাহমুদ
ঢাকা, ২৯ জুন, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাঙ্গালীর পরিচয় বদলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে দল চারবার ক্ষমতায় এসেছে। উন্নয়ন ও অর্জনের মাধ্যমে তিনি দেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’
ড. হাছান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে কেস স্টাডি। কারণ খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, অবিস্মরণীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের দেশ।
ড. হাছান মাহমুদ আজ দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির উদ্যোগে ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর : তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দলের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপিকা মেরিনা জাহান বক্তব্য রাখেন।
সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ।
এইচ টি ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে আমরা যে পর্যায়ে নিয়ে এসেছি, সেই দেশকে তরুণ প্রজন্ম কোথায় নিয়ে যাবে সেটাই বড় প্রশ্ন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিশন-২০২১, ২০৪১ এবং ২১০০, ডেল্টা প্লান ঘোষণা করেছেন। তা বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ বলেন, এক সময় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বিশ্ব গণমাধ্যমে স্থান পেত। সে সময় বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ বলেও উল্লেখ করা হতো।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দরিদ্র দেশ হিসেবে বিশ্ব গণমাধ্যমের খবর হয় না। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাউথ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর জন্য বিশ্ব গণমাধ্যমে স্থান পায়।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশকে আর দরিদ্র দেশ বলার সুযোগ নেই। কারণ এখন বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, অল্প কিছু দিনের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, এখন ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশের জন্য এই বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু সরকারী দল হিসেবেই দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে নি, বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন কালেও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছে। দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ কোন প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবতা।
তিনি বলেন, দেশের তরুণদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাজেটে প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্ধ রাখা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বন্ধে করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো অনেকাংশে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু অনলাইন ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এই অনলাইন ওয়েব পোর্টালগুলো নিবন্ধিত হওয়ার পর তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বিদেশে পলাতক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারাটা নিজের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনীর বিচারের রায় এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয় নি। তার মধ্যে একজন বিদেশে মারা গেছেন বলে জানা গেছে, তিনজন কোন দেশে পালিয়ে রয়েছে তা এখনও জানা যায় নি। তবে দু’জনের অবস্থান সম্পর্কে জানা রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রী এবং তরুণ পেশাজীবীরা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে কিভাবে দেখতে চায়, সে বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন। মঞ্চে থেকে প্যানেল বক্তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে নানা বিষয়ের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাসস/এএসজি/এমএএস/১৬২২/এমএবি