জয়ের উচ্ছ্বাসে প্রকম্পিত মেক্সিকো

223
Soccer Football - World Cup - Group F - Germany vs Mexico - Moscow, Russia - June 17, 2018 Mexico's fans celebrate victory of their team after the match. REUTERS/Sergei Karpukhin

মেক্সিকো সিটি, ১৮ জুন ২০১৮ (বাসস/এএফপি): বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয়ার পর পুরো মেক্সিকো জুড়ে চলেছে আনন্দের বন্যা। বিশেষ করে রাজধানীর রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার ফুটবল সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ও বিজয় উদযাপনের দৃশ্য ছিল অভাবনীয়।
ভুমিকম্প প্রবণ মেক্সিকোতে রোববার রাতে আবারো যেন ভুমিকম্প হয়েছিল। তবে কয়েক সপ্তাহ আগের মত সেই আসল ভুমিকম্প নয়। এটি ছিল ‘বিজয়ানন্দের ভুমিকম্প’। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ‘এফ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে হিরভিং লোজানো যখন লক্ষ্য ভেদ করলেন তখনই এই বিজয়ের ভুমিকম্প শুরু হয় মেক্সিকোতে।
বিশ্বকাপের ২১তম আসরের দশম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে এই আপসেটের জন্ম দেয় মেক্সিকো। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে লোজানোর দেয়া একমাত্র গোলটি মেক্সিকোকে দুর্দান্ত এক জয়ের স্বাদ দেয়। ২০১৬ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর ২৯ ম্যাচে ৮ গোল করেন লোজানো। এই জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করেছে মেক্সিকো। আর বিগত ১২ খেলায় জার্মানির বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখলো মেক্সিকো। ১৯৮৫ সালে সিটি টুর্নামেন্টে ওয়েস্ট জার্মানির বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিলো মেক্সিকো। অন্য ১০টি ম্যাচে জার্মানি ৬টিতে জিতলেও ৪টি ড্র হয়। এই নিয়ে ১৫বার বিশ্বকাপ আসরে খেলেছে মেক্সিকো। যেখানে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য দু’বার কোয়ার্টারফাইনালে পৌঁছানো।
যে কারণে বিশ্বকাপে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর উচ্ছ্বাস এমন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। একজন ভুমিকম্পবিদ নিশ্চিত করেছেন যে এ সময় কৃত্রিম ভুমিকম্পের সৃষ্টি হযেছিল। বিশেষ করে গোলের উচ্ছ্বাসে সমর্থকরা এক যোগে উদ্যম নৃত্যের কারণে এমন পরিস্থতির সৃষ্টি হয়। এ সময় শহরের প্রধান স্কয়ার জোকালোতে খেলা দেখতে জড়ো হয়েছিল বিপুল সংখ্যক মেক্সিকোন সমর্থক। তারাই মেতে উঠেছিল বন্য উচ্ছ্বাসে।
৪৫ বছর বয়সি লরা ভিলেজাস এ সময় বলেন, ‘আজকে যা ঘটেছে তা হলো বিজয়ের ভুমিকম্প। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছি। এটি কি বিশ্বাস করা যায়!’ এ সময় সমস্বরে বিজয়ের স্লোগান দিতে থাকে উপস্থিত মেক্সিকান ফুটবল ভক্তরা।
এ সময় টুইটারে বর্তা দিয়ে দেশবাসীর এই বিজয় উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হন মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি এনরিখ পেনা। তিনি নিজের টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘মেক্সিকো বিশ্ব সেরাদের বিপক্ষে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছে এটি নিশ্চিত। অভিনন্দন মেক্সিকান দলকে। এটি ছিল অসাধারণ এক ম্যাচ।’
মেক্সিকোর ওই বিজয় উপলক্ষে র‌্যালি হয়েছে গুয়াদালাজারা, টুরাসা, টিজুয়ানা এবং সিউদাদ জুয়ারেজের মত দেশটির অন্য প্রধান প্রধান প্রধান শহরেও।