রংপুরে দু’দিনব্যাপী স্বর্ণ মেলায় ৩.২৭ কোটি টাকা আয়

396

রংপুর, জুন ২৬, ২০১৯ (বাসস) : রংপুর চেম্বার মিলনায়তনে মঙ্গলবার রাতে সমাপ্ত দু’দিনের বিভাগীয় পর্যায়ের স্বর্ণ মেলা-২০১৯ থেকে সরকার ৩.২৭ কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে কর সংগ্রহ করেছে।
রংপুর জোনাল কর কমিশনারের অফিস কর্তৃক সোমবার থেকে আয়োজিত উক্ত মেলায় স্বর্ণ ও স্বণালংকার ব্যবসায়ীদেরকে অঘোষিত স্বর্ণ, স্বর্ণের অলঙ্কার, কাটা এবং পালিশ করা হীরা ও রৌপ্য নামমাত্র কর পরিশোধ করার মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ দেয়।
স্বর্ণ মেলা সমাপ্ত হলেও ব্যবসায়ীদের জন ্য এ সুযোগ আগামী ৩০ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
রংপুর অঞ্চলের কর কমিশনার মো: আব্দুল লতিফ আজ বুধবার বাসস’কে জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলার ১,১১৪ জন স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসায়ীগন বিগত দু’দিনে মেলায় মোট ৩.২৭ কোটি টাকা কর প্রদানের মাধ্যমে অঘোষিত স্বর্ণ, স্বর্ণালঙ্কার এবং হীরা বৈধ করেছেন।
জোনাল ট্যাক্স কমিশনারের কার্যালয়, কাস্টমস ও এক্সাইজ এবং ভ্যাট কর্তৃপক্ষ এবং দু’টি বাণিজ্যিক ব্যাংক মেলা প্রাঙ্গনে স্থাপিত ছয়টি স্টলে স্বর্ণ ও স্বণালংকার ব্যবসায়ীদেরকে তাদের অঘোষিত স্বর্ণ, স্বর্ণের অলঙ্কার, কাটা এবং পালিশ করা হীরা ও রৌপ্য কর পরিশোধ করার মাধ্যমে বৈধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদান করে।
লতিফ বলেন, ‘পরবর্তী ৩০ জুন পর্যন্ত জাতয়ি রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বৈধ করার লক্ষ্যে প্রতি তোলা অঘোষিত স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের জন্য ১,০০০ টাকা, প্রতি ক্যারেট হীরার জন্য ৬,০০০ টাকা এবং প্রতি তোলার রূপার জন্য ৫০ টাকা কর নির্ধারণ করে।’
এই সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে রংপুর বিভাগের ব্যবসায়ীরা উক্ত মেলায় ২.৮৫ কোটি টাকা কর প্রদান করে ২৮,৫০৩ তোলা স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, ১৯.৭৪ লাখ টাকা কর দিয়ে ৩৯,৪৯৭ তোল রূপা এবং ২২.৪৪ লাখ টাকার কর পরিশোধ করে ৩৭৪ ক্যারেট হীরা বৈধ করেন।
‘আগামী ৩০ জুন এ সুযোগ সমাপ্ত হবে’, উল্লেখ করে লতিফ স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসায়ীদেরকে যথাযথভাবে তাদের ব্যবসায়ের হিসাব-নিকাশ বজায় রাখা, নিয়মিতভাবে রিটার্ণ জমা দেয়া এবং স্বর্ণ নীতি- ২০১৮ অনুসারে ভ্যাট প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
এঙ্গলবার রাতে মেলা প্রাঙ্গনে বাসস’র সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির রংপুর জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক সোহেল দেশের গয়না শিল্পকে উন্নত করার জন্য স্বর্ণ নীতি- ২০১৮ প্রণয়ন করার জন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, সরকার ঘোষিত স্বর্ণ নীতি-২০১৮ দেশের গয়না শিল্প উন্নয়নের পাশাপাশি র‌্যবমায়ীদের জন্য স্বর্ণ আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ের নতুন একটি খাতের দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে।