নওগাঁয় ব্ল্যাক কুৃইন জাতের তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছে খামার মালিক

552

নওগাঁ, ২৬ জুন , ২০১৯ (বাসস) : জেলায় অসময়ে জাংলায় বা মাচানে ভারতীয় ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে কৃষিভিত্তিক একটি ব্যক্তিগত খামার। স্বাদে এবং রং-এ উৎকৃষ্টমানের হওয়ায় বাজারে এ তরমুজের চাহিদাও রয়েছে বেশ।
ঢাকা গাজীপুরে অবস্থিত কৃষিভিত্তিক খামার “ আল আমীন এগ্রো” নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী এলাকায় জেলখানার পূর্ব দেয়াল ঘেঁেষ দুই বিঘা জমি তিন বছরের জন্য লীজ নিয়ে এ বছর প্রথম ভারতীয় ব্ল্যাক কুইন জাতের এ তরমুজ চাষ করেছে।
আল আমীন এগ্রো খামারের ম্যানেজার কৃষিবিদ আজিজুর রহমান জানিয়েছেন ঐ দুই বিঘা জমি প্রতি বছর ১৫ হাজার টাকা হিসেবে ৪৫ হাজার টাকায় তিন বছরের জন্য লীজ গ্রহণ করা হয়েছে। ঐ জমিতে জাংলা দিয়ে গত বছর ২২ এপ্রিল সেখানে তরমুজের চারা রোপণ করা হয় এবং চারা রোপণের ঠিক দুই মাস এক দিন পর ২৩ জুন প্রথম বার তরমুজ উত্তোলন করা হয়। এ দুই মাসের মধ্যে প্রতিটি তরমুজের ওজন আড়াই কেজি থেকে তিন কেজি পর্যন্ত হয়েছে। এ তরমুজের বাহির কুচকুচে কালো হলেও ভিতরে টকটকে লাল এবং মিষ্টি।
উল্লেখিত জমি থেকে প্রথম বার প্রায় দেড়শ মণ তরমুজ উৎপাদিত হয়। জমি থেকেই নওগাঁ’র তরমুজ ব্যবসায়ী যোবায়ের আহম্মেদ প্রতি মণ ১ হাজার ৪শ টাকায় অর্থাৎ ৩৫ টাকা কেজি হিসেবে ক্রয় করেন।
এ হিসেবে প্রথবারেই উত্তোলিত ১৫০ মণ তরমুজের বিক্রি মূুল্য ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। কয়েকদিন পর আরও কিছু তরমুজ উত্তোলন করা হবে। চারা ক্রয়, পরিচর্যা, জাংলা বা মাচান তৈরি কর্মচারীদের বেতনসহ মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ দুই মাসে একবার তরমুজ উত্তোলন করেই নীট মুনাফা অর্জিত হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় বারে উত্তোলিত তরমুজ কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। সব মিলিয়ে এ জমি থেকে দুই মাসে তরমুজ চাষ করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করা সম্ভব। এ জমিতে চলতি বছর আরও একবার অনুরুপ তরমুজ উৎপাদন করা সম্ভব এবং তাড়াতড়ি তরমুজের চারা রোপণ করা হবে। দ্বিতীয় বার তরমুজ উৎপাদন করে একই জমিতে অন্য কোন লাভজনক ফসল উৎপাদন করবে ঐ এগ্রো খামার। খামার কর্ত্তৃপক্ষ আশা করছেন বছরে এ জমি থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে ৩ লক্ষাধিক টাকা আয় করতে সক্ষম হবে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক জানিয়েছেন তিনি এ তরমুজ চাষের খবর শুনেছেন। ভারতীয় ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ লাভজনক। এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব রকমের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।