বাসস দেশ-৩৩ : দেশে মানবতাবাদী শক্তিকে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি হুমকি দিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

301

বাসস দেশ-৩৩
কাদের-সাম্প্রদায়িক-ষড়যন্ত্র
দেশে মানবতাবাদী শক্তিকে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি হুমকি দিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
ঢাকা, ২৫ জুন, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে এখনও অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী শক্তিকে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা মাঝে মাঝেই ভয়াবহ রূপ নিয়ে আবির্ভূত হচ্ছে। রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ভয়াবহ হামলা তারাই ধারাবাহিকতা।
কাদের আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সে চেতনা বিরোধী শক্তি দূর্বল হয়ে গেছে তা ভাবার কোন কারণ নেই।
ওবায়দুল কাদের আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে সামনে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী দিনে আয়োজিত বর্ণাঢ্য এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি গোপনে গোপনে দেশে বড় ধরনের জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয় বারের মতো বিজয় সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি মেনে নিতে পারছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাই তারা গোপনে গোপনে মারাত্মক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির মোকাবেলায় দেশের অসাম্প্রদায়িক শুভ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সাংস্কৃতিক কর্মীসহ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কাদের বলেন, আমাদের জঙ্গিবাদী অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। তা না হলে শ্রীলংকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জঙ্গী হামলার মতো আমাদেরও ক্ষত-বিক্ষত হতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কৌশলগত কারণে মাঝে মাঝে তার নীতির পরিবর্তন ঘটায়। কিন্তু আদর্শগতভাবে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিকড় থেকে একচুলও নড়ে নাই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক। সাংস্কৃতিক কর্মীদের সকল বিপদে সব সময় তিনি ছাড়া আর কেউ তাদের পাশে ছিলেন না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংস্কৃতিক বান্ধব সরকার। সব সময় তিনি সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
পরে দেশের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও আবৃত্তিকাররা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়, ফাহমিদা নবী, আঁখি আলমগীর, চিশতী বাউল, বাপ্পা মজুমদার সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
বাসস/এএসজি/এমএএস/২১১০/এসই