পোল্যান্ড-সেনেগালের ম্যাচে লিওয়ানোদোস্কি-সানের দিকে সকলের দৃষ্টি

213

মস্কো, ১৮ জুন ২০১৮ (বাসস) : আগামীকাল গ্রুপ-এইচ’র এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পোল্যান্ড ও সেনেগাল। ম্যাচটিকে ঘিড়ে ইতোমধ্যেই বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে, তার কারণ অবশ্য দুই দলের দুই তারকা ফরোয়ার্ড রবার্ট লিওয়ানোদোস্কি ও সাদিও সানের ফর্ম। ইউরোপীয়ান ফুটবলের বর্তমান সময়ের অন্যতম দুই সেরা ফরোয়ার্ডের ফর্মের দিকেই তাকিয়ে থাকবে পুরো ফুটবল বিশ্ব।
বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা লিওয়ানোদোস্কি এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত বুন্দেসলিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তার থেকে এসেছে ৪১ গোল, যার মধ্যে বুন্দেসলিগায় করেছেন ২৯টি।
অন্যদিকে মানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে করেছেন ১০ গোল, এর মধ্যে কিয়েভের ফাইনালে লিভারপুলের হয়ে করেছেন একটি গোল। মিশরীয় তারকা মোহাম্মেদ সালাহ ও ব্রাজিলিয়ান রবার্তো ফিরমিনোর সাথে এবারের প্রিমিয়ার লিগে মানে লিভারপুলের আক্রমনভাগে ছিলেন অনন্য। সেনেগালের সাবেক খেলোয়াড় এল হাদি ডিওফ বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি এবারের বিশ্বকাপে সাদিও অন্যতম একজন সেরা তারকা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করবে।
এর আগে একবারই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল সেনেগাল। ২০০২ সালের জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে এল হাদি ডিওফ দলের অন্যতম মূল খেলোয়াড় ছিলেন।
মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়ামে গ্রুপ-এইচ’র ম্যাচে পোল্যান্ডই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে। এই গ্রুপের অপর দুটি দল হচ্ছে কলম্বিয়া ও জাপান। বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বর দল হিসেবে এটি পোল্যান্ডের বিশ্বকাপে অষ্টম অংশগ্রহন। ১৯৭৪ ও ১৯৮২ সালে তৃতীয় স্থানে থেকে তারা বিশ্বকাপ শেষ করেছিল। কোচ এডাম নাওয়ালকার দল এবারও কিছু একটা করে দেখাতে বদ্ধ পরিকর।
২০১৬ সালের ইউরো ব্যর্থতা কাটিয়ে নিজেকে প্রমানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন লিওয়ানোদোস্কি। ঐ আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে থেকে বিদায় নেয়া পোলিশদেও হয়ে লিওয়ানোদোস্কি মাত্র এক গোল করেছিলেন। ২৯ বছর বয়সী এই বায়ার্ন তারকা অবশেষে তার দুর্দান্ত ক্লাব ফর্মকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রমান করতে পেরেছেন। বাছাইপর্কে পোল্যান্ডের ১০ ম্যাচে তিনি করেছেন রেকর্ড ১৬ গোল। ২০১৬ সালের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি মানসিক কাঠামো নিয়ে তিনি রাশিয়ায় খেলতে এসেছেন বলে স্বীকার করেছেন লিওয়ানোদোস্কি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আমাদের অনুশীলনও বেশ ভাল হয়েছে। সঠিক সময়েই আমি সতেজ ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। বেশ আগে ভাগেই আমি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম।
প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত কাঁধের ইনজুরি কাটিয়ে ডিফেন্ডার কামিল গিল্ক দলে ফেরায় তা পোলিশদের আত্মবিশ্বাসকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সেন্টার ব্যাক দলের অন্যতম মূল ভরসা। মানেকে আটকানোর জন্য পুরো দল অনায়াসে তার ওপর নির্ভর করতে পারে।
এদিকে সেনেগাল ২০০২ সালের পারফরমেন্সকে ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পুরোপুরি প্রস্তুত। ঐ আসরে অধিনায়ক আলিও চিজে বর্তমান জাতীয় দলের কোচ। আসরের তৎকালীন চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ১-০ গোলে পরাজিত করে বিশ্বকাপের অন্যতম বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিল সেনেগাল। আর এতেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় আফ্রিকান দল হিসেবে তাদের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল।