বাসস ক্রীড়া-১৩ : বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ

187

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-বিশ্বকাপ
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ
লন্ডন, ২৪ জুন, ২০১৯(বাসস/এএফপি) : দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপে আগামীকাল মঙ্গলবার লর্ডসে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ২০ রানে পরাজিত হওয়া ইংল্যান্ড এ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে।
তবে ইতিহাস তাদের বিপক্ষে। এর আগে বিশ্বকাপ মঞ্চে চির প্রতিদ্বন্দি দুই দেশ সাতবার মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে পাঁচবার।
পিছনের ম্যাচগুলোর দিকে চোখ বুলানো যাক:
১৯৭৫: গিলমোরের দিন
হেডিংলি: ইংল্যান্ড ৯৩(গিলমোর ৬-১৪) বনাম অস্ট্রেলিয়া ৯৪-৬
অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে জয়ী।
প্রথম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গ্যারি গিলমোরের ১৪ রানে ৬ উইকেট শিকারের সুবাদে ইংল্যান্ড মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায়।
কেবল বল হাতেই নিজের দায়িত্ব শেষ করেননি বাঁ-হাতি এ পেসার। বল হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ব্যাট হাতে নামেন গিলমোর। তবে তার অপরাজিত ২৮ রানের সুবাদে ফাইনালে যায় অস্ট্র্রেলিয়া।
১৯৭৯: বয়কটের দ্বৈত ভুমিকা
লর্ডস: অস্ট্রেলিয়া ১৫৯-৯ বনাম ইংল্যান্ড ১৬০-৪(গুচ ৫৩)
ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
‘বিদ্রোহী’ ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট সিরিজের কারণে দুর্বল অস্ট্রেলিয়া দল ৯ উইকেটে ১৫৯ রান করে। একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে বয়কট তার মিডিয়াম পেস দিয়ে ১৫ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।
১৯৮৭: গ্যাটিংয়ের বিভার্স সুয়িং এ অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়
কোলকাতা: অস্ট্রেলিয়া ২৫৩-৫(বুন ৭৫) বনাম ইংল্যান্ড ২৪৬-৮
অস্ট্রেলিয়া ৭ রানে জয়ী
টুর্নামেন্টের ফাইনালে রানতারা করতে ইংল্যান্ড ভালই এগোচ্ছিল। ২ উইকেটে ১৩৫ রান থাকা অবস্থায় অকেশনাল বাঁ-হাতি স্পিনার প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এ্যালান বোর্ডারের রিভার্স সুইপ মোকাবেলা করতে গিয়ে ৪১ রানে কট বিহাইন্ড হন মাইক গ্যাটিং। এরপরই ইংলিশ ইনিংসে ধ্বস নামে এবং প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে অস্ট্রেলিয়া।
১৯৯২: আবারো অস্ট্রেলিয়াকে শেষ করে দেন বোথাম
সিডনি: অস্ট্রেলিয়া ১৭১(মুডি ৫১; বোথাম ৪-৩১) বনাম ইংল্যান্ড ১৭৩-২(গুচ ৫৮, বোথাম ৫৩)
ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিজের অনেক সেরা পারফরমেন্স সংরক্ষনে রেখেছিলেন ইয়য়ান বোথাম এবং এ ম্যাচে আরেকটা চমৎকার অলরাউন্ড নৈপুন্য দেখার ইংল্যান্ড গ্রেট। টপ অর্ডারে হাফ সেঞ্চুরির আগে বল হাতে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি।
২০০৩: এন্ডি বিচেলের ম্যাচ
পোর্ট এলিজাবেথ: ইংল্যান্ড ২০৪-৮(বিচেল ৭-২০) বনাম অস্ট্রেলিয়া ২০৮-৮(বেভান অপরাজিত ৭৪)
অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জয়ী
অস্ট্রেলিয়া দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন না এন্ডি বিচেল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে এ দিন ২০ রানে ৭ উইকেট শিকার করেই সুযোগটা ভালভাবে কাজে লাগান।
এমনকি ১৩৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে। তখন ‘ফিনিশার’ হিসেবে পরিচিত মাইকেল বেভান(অপরাজিত ৭৪) এবং বিচেল (অপরাজিত ৩৪) অপরাজিত জুটি হিসেবে ২ বল হাতে রেখেই দলকে জয় এনে দেন।
২০০৭: অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের উইকেট উৎসব
নর্থ সাউন্ড: ইংল্যান্ড ২৪৭(পিটারসেন ‘০৪, বেল-৭৭; ব্র্যাকেন ৩-৩৩, টেইট-৩-৪১, ম্যাকগ্রা-৩-৬২) বনাম অস্ট্রেলিয়া ২৪৮-৩(পন্টিং ৮৬, ক্লার্ক-অপরাজিত ৫৫)
অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে জয়ী
ইংল্যান্ড ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলে ফেলে। কিন্তু তারপরই দ্রুত উইকেট পড়তে থাকে। ইয়ান বেলকে এবং সেঞ্চুরি করা পিটারসেনকে আউট করেন ম্যাকগ্রা।
এরপর রিকি পন্টিং(৮৬) ও মাইকলে ক্লার্কের(অপরাজিত ৫৫) ব্যাটিং নৈপুন্যে অস্ট্রেলিয়া সহজ জয় পায়।
২০১৫: ফিঞ্চের রান বন্যা
মেলবোর্ন: অস্ট্রেলিয়া ৩৪২-৯(ফিঞ্চ ১৩৫, ম্যাক্সওয়েল ৬৬, বেইলি ৫৫; ফিন ৫-৭১) বনাম ইংল্যান্ড ২৩১ টেইলর অপরাজিত ৯৮; মার্শ-৫৩৩)
অস্ট্রেলিয়া ১১১ রানে জয়ী
নিজ মাঠে এ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে নিজেদের মত করে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া।
নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই জেমস টেইলর সেঞ্চুরি মিস করার পর জেমস এন্ডারসনের রান আউটে বড় পরাজয় মেনে নিতে হয় ইংল্যান্ডকে।
বাসস/এএফপি/১৯৩৫/স্বব