বাংলাদেশের কিংবদন্তি লেখক আহমদ ছফা

495

ঢাকা, ২৪ জুন, ২০১৯ (বাসস) : কথাসাহিত্যিক ও দার্শনিক আহমদ ছফা বাংলাদেশর কিংবদন্তি লেখক। তার লেখায় উঠে এসেছে অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিকবোধসম্পন্ন দেশ ও সৃজনশীল মানুষ এবং সমাজ নির্মাণের দার্শনিকতা ।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ‘আহমদ ছফা : মানবিক ও দার্শনিক চিন্তার অগ্রপুরুষ’ র্শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি অসীম সাহা। প্রধান আলেচক ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। আলোচনায় অংশ নেন লোকগানের শিল্পী ফকির আলমগীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার শিহাব শাহরিয়ার। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহেমদ।
কবি অসীম সাহা কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফার জীবন ও কর্মের ওপর নানা তথ্য উপস্থান করে বলেন, তার সমুদয় লেখায় দার্শনিকতা ও মানববোধ পরিষ্কার। তিনি বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি লেখক। তাকে বাংলাসাহিত্য থেকে কখনও আলাদা করা যাবে না।
তিরি বলেন, আহমদ ছফা একাধারে উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক। তার লেখায় মানবিক সমাজ নির্মাণে দার্শনিকতার প্রয়োগই বেশি। কি সেই দার্শনিকতা, তা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদে তার নিজস্ব বয়ান। সাম্যবাদের আলোকে কি হবে সমাজের চেহারা তা তার সব লেখায় উপস্থাপন করেছেন তিনি।
ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, বহুমাত্রিক গুণে গুণান্বিত আহমদ ছফা। অসম্ভব শক্তিমান ও প্রতিভাবান লেখক। সব সময় স্বপ্ন দেখতেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের। আলোকিত দেশগড়ার বিয়য়টি ছিল তার লেখার মূলসুর। সে লক্ষ্যে লেখালেখি করে সফল হয়েছেন।