আফগানিস্তান বিশ্বকাপে প্রতিদিনই শিখছে : নাইব

401

সাউদাম্পটন, ২৩ জুন ২০১৯ (বাসস) : ভারতের বিপক্ষে অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হয়েছে আফগানিস্তানের। শনিবার ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সামীর হ্যাটট্রিকে ১১ রানে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্টের টানা ষষ্ঠ পরাজয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা পেয়েছে আফগানরা। কিন্তু শক্তিশালী ভারতীয়দের বিপক্ষে তাদের উজ্জীবিত পারফরমেন্স ইতোমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে। ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব বলেছেন, তার অনভিজ্ঞ দল বিশ্বকাপে প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিক্ষা নিচ্ছে।
এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপের মত মেগা আসরে খেলতে এসেছে আফগানিস্তান। সাউদাম্পটনে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটির লাইন-আপকে ৮ উইকেটে মাত্র ২২৪ রানে আটকে দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরী করেছিল আফগানরা। নাইব বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতে প্রথম চারটি ম্যাচে আমরা সত্যিকার অর্থেই বাজে খেলেছি। কিন্তু এরপর ইংল্যান্ড ও ভারতের মত দুটি ফেবারিট দলের বিপক্ষে আমরা নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছি। সে কারনেই আমি মনে করি প্রতিদিনই আমাদের উন্নতি হচ্ছে। এই ধরনের দলই আমি সবসময় প্রত্যাশা করি। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে আমাদের উন্নতিটা দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, সে জন্য ভারতের সাথে এই পারফরমেন্সে আমি দারুন খুশী। ভারতের মত দল কখনই একটি সুযোগও ছাড়বে না। তারা যেভাবে বোলিং-ফিল্ডিং করেছে তাতে এই জয়ের কৃতিত্ব অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে তাদেরই। আমরাও অনেক ভাল কিছু করেছি। কিন্তু দিনের শেষ পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।’
এপ্রিলে আফগানিস্তান ওয়ানডে দলের অধিানয়কের দায়িত্ব পাওয়া নাইব বলেন, ‘২২০, ২৫০ রান তাড়া করতে হলে মিডল অর্ডারে অবশ্যই কোন একজনের কাছ থেকে ৫০-৮০ রানের লক্ষ্য থাকতে হবে। ৩০ রানও অবশ্য এক্ষেত্রে যথেষ্ঠ। এই ধরনের দলের বিপক্ষে খেললে অনেক কিছু শেখা যায়। আমরা নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। অবশ্যই এই রান তাড়া করা সম্ভব ছিল। কিন্তু আমি মনে করি সেই দায়িত্বটা আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিতে পারেনি। অবশ্যই ম্যাচটিতে জিততে না পারায় আমরা হতাশ। ভারত বিশ্বের অন্যতম সেরা দল এবং আমার ফেবারিট। বিরাট কোহলিকেও আমি খুব পছন্দ করি। আজ তার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি দারুন খুশী।’
তারপরেও নাইব বিশ্বাস করেন পরাজয় সত্তেও ফেবারিট একটি দলের বিপক্ষে তার দলের এই ধরনের ইতিবাচক পারফরমেন্স ভবিষ্যতে অনেক কাজে আসবে। এই ম্যাচে জয়ী হতে পারলে এটা বিশ্বকাপের আফগানদের দ্বিতীয় জয় হতো। ২০১৫ সালে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে তারা প্রথম জয় তুলে নিয়েছিল।