বাজিস-৪ : কেরানীগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়

213

বাজিস-৪
কেরানীগঞ্জ-স্বাস্থ্যসেবা
কেরানীগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়
॥ মো. মোস্তফা কামাল ॥
কেরানীগঞ্জ, ২০ জুন, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকার কেরানীগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবা এখন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। স্বাস্থ্যসেবা পেতে এখন আর সাধারণ মানুষকে দূরে বা শহরমুখি হতে হয়না। কেরানীগঞ্জের ১০টি ইউনিয়নে ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে সব ধরনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারি সহযোগিতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
জানা যায়, কেরানীগঞ্জের ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নে ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে হযরতপুর ইউনিয়নে ৪টি, তারানগর ২টি, শাক্তা ২টি, রোহিতপুর ২টি, কালিন্দি ২টি, তেঘরিয়া ২টি, কোন্ডা ২টি, বাস্তা ২টি, জিনজিরা ১টি ও কলাতিয়া ইউনিয়নে ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিক সাধারণ মানুষের আশপাশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যাতে করে সাধারণ মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে এখন আর দূরে কোথাও যেতে হয় না। চিকিৎসা সেবার মান ভালো হওয়ায় এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী সেবা নিতে আসছে ক্লিনিকগুলোতে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রশিক্ষণ ও ট্রেনিংপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার দ্বারা চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জের ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। রোগীদের মাঝে ৩০ লাখ ১০ হাজার টাকার ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। এলাকাবাসী স্বাস্থ্য সেবার কথা চিন্তা করে জনগণের স্বেচ্ছায় প্রদান করা জমির উপর সরকারি অর্থায়নে এসব কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
কোন্ডা ইউনিয়নের বেয়ারা কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা সাহানা বেগম বলেন, আমার ছোট ছেলেটা অসুস্থ এসেই ডা. আপার পরামর্শ নিলাম। তিনি ওষুধ দিলেন কোন টাকা লাগলো না। আমরা গরীব মানুষেরা যেন সহজে ভালো চিকিৎসা পাই সেই আশা করি।
এব্যাপারে কোন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী ফারুক বাসস’কে জানান, এলাকার জনগণ স্বেচ্ছায় ৮ শতাংশ জমি দান করলে সরকার সেখানে ভবন নির্মাণ করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে কোন এমবিবিএস ডাক্তার না থাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ছাড়া অন্য কোন চিকিৎসা সোবা প্রদান করা যাচ্ছে না। তাই সাধার মানুষের দাবি প্রিতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে এমবিবিএস ডাক্তান নিয়োগ দেয়া হউক। এতে করে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বাড়বে। সাধারণ মানুষ এ ক্লিনিকগুলো থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে। প্রধামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আজ সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ মীর মোবারক হোসাইন বাসস’কে বলেন, কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রশিক্ষণ ও ট্রেনিং প্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার দ্বারা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জের ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং ৩০ লাখ ১০ হাজার টাকার ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১২৩০/-নূসী