বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার স্মার্টফোন। যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি শুল্ক ও অতিরিক্ত করারোপের ফলে এ খাত বাধাগ্রস্ত হবে।
বর্তমানে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্কের ফলে স্মার্টফোন আমদানিতে মোট করের পরিমাণ প্রায় ৩১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করার ফলে মোট করের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। যার ফলশ্রুতিতে আমদানিকৃত স্মার্টফোনের মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
সংগঠনের সভাপতি নিজাম উদ্দিন জিটু মূল্য বৃদ্ধির ফলে স্মার্টফোন ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাবে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যেতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশের পরিবর্তে পূর্বের ন্যায় ১০ শতাংশে রাখার দাবি জানান তিনি।
বিএমবিএর হিসাবে আমদানি নির্ভর মোবাইল শিল্পের সঙ্গে দেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে বিএমবিএর সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি মো. হোসেন হায়দার হিরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।