বাসস দেশ-১৯ : জাতীয় ফল মেলায় প্রায় ৮০ লাখ টাকার ফল বিক্রি

176

বাসস দেশ-১৯
ফল-মেলা-সমাপ্ত
জাতীয় ফল মেলায় প্রায় ৮০ লাখ টাকার ফল বিক্রি
ঢাকা, ১৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় ফল মেলায় এবার প্রায় ৮০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হয়। যা গতবারের তুলনায় ৩০ লাখ টাকা বেশি।
রাজধানীর খামারবাড়িতে তিন দিনের জাতীয় ফল মেলা ২০১৯ এর সমাপনী দিনে আয়োজকরা এই তথ্য জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার আ.কা. মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটরিয়ামে পুরষ্কার প্রদানের মাধমে কৃষি মন্ত্রণালয় এ আয়োজন সম্পন্ন করে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ড. এএসএম আনোয়ারুল হক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ মোহা: আকরামুল হক।
উল্লেখ্য, রবিবার ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয় এ মেলা।
ফল মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টল, ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, প্রগতিশীল কৃষক, প্রতিষ্ঠান পর্যায় ও সর্বোচ্চ ফলদ বৃক্ষ রোপনকারী জেলাকে পুরষ্কৃত করা হয়। মেলায় সরকারি ৭টি ও বেসরকারি ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮৪টি স্টলে বিভিন্ন জাতের ফল প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়।
আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, কলাসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন বাহারি ফল প্রদর্শনের জন্য সরকারি স্টল হিসেবে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দ্বিতীয় হয়েছে যৌথভাবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম হয়েছে খাগড়াছড়ির গ্রীন টার্চ এগ্রো, যৌথভাবে দ্বিতীয় হবিগঞ্জের মো. বদু মিয়া ও ঢাকার ভাই ভাই ফল বিতান এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে বরিশালের মেসার্স মা ফুড লিমিটেড ও ঢাকার স্বপ্না ফলের খাবার।
ঢাকা শহরে বাড়ির ছাদে ফল বাগান সৃজনে বিশেষ সফলতার জন্য পুরস্কার পান কামরাঙ্গীচরের সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও মাফিয়া বেগম এবং রায়ের বাজারের মো. আজিজ আহম্মেদ।
ব্যক্তি উদ্যোগে ফল বাগান সৃজনে বিশেষ অবদানের জন্য প্রথম পুরস্কার পান খাগড়াছড়ির হ্লাশিং মং চৌধুরী, পাবনার মোছা. নুরুন্নাহার বেগম দ্বিতীয় ও শেরপুরের মো. হযরত আলী তৃতীয় পুরষ্কার অর্জন করেন।
প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে রংপুরের নাশিক প্লান্ট এন্ড পট, নওগাঁর মানব সেবা সংগঠন ও জামালপুরের হাসনাহেনা নার্সারীকে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জেলা পর্যায়ে ফলদ বৃক্ষ রোপণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃত স্বরুপ খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও বরগুনা জেলাকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে কৃষি তথ্য সার্ভিস আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৫জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে নগদ অর্থ, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
বাসস/সবি/এমএন/১৯১০/কেকে