মেহেরপুরে খেজুরে ভরে গেছে গাছগুলো

584

।। দিলরুবা খাতুন ।।
মেহেরপুর, ১৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : সুদীর্ঘকাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রধানতঃ মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার কিয়দাংশে জনসাধারণের কাছে খেজুর প্রধান উপাদেয় খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে যশোর অঞ্চলে ব্যাপক খেজুর চাষ হয়। দেশের সব জেলাতেই কমবেশী খেজুর গাছ দেখা যায়। মেহেরপুর অঞ্চলেও ব্যাপক খেজুর গাছ আছে। কোন যতœ ছাড়ায় খেজুরগাছ বেড়ে ওঠে। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলাতে সবচেয়ে বেশী খেজুর গাছ দেখা যায়। শীতের সময় খেজুর রস সংগ্রহে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শীত মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় অন্তত সহ¯্রাধিক মানুষ খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে রস কিম্বা রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। অতি সুমিষ্ট খেজুরের গুড় জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাতেও বাজারজাত হয়ে থাকে। এখন খেজুর গাছ গুলোতে খেজুরে ভরে গেছে। অনেক গাছের খেজুর পাকতেও শুরু করেছে। এসব খেজুর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর আফ্রিকা, ঘানা, আইভরীকোস্টে খেজুর গাছের অংশ কেটে সুমিষ্ট রস বের করা হয়। যা খেজুরের রস নামে পরিচিত। রস আহরণের জন্যে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। গাছ কেটে রস আহরণের জন্যে দক্ষতার প্রয়োজন নতুবা খেজুর গাছ মারা যাবে। শীতের সময় খেজুরের রসের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এসময় গাছিরা ব্যস্ত থাকে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে। খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খুবই সুস্বাদু।
খেজুরের বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানতঃ মরু এলাকায় ভাল জন্মে। খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়। মাঝারী আকারের গাছ হিসেবে খেজুর গাছের উচ্চতা গড়-পড়তা ১৫ মিটার থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর লম্বা পাতা পাখির পালকের আকৃতিবিশিষ্ট। দৈর্ঘ্যে পাতাগুলো ৩ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতায় দৃশ্যমান পত্রদন্ড রয়েছে। এক বা একাধিক বৃক্ষ কান্ড রয়েছে যা একটিমাত্র শাখা থেকে এসেছে।