সামাজিক সুরক্ষায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি বিজিএমইএর

286

ঢাকা, ১৬ জুন, ২০১৯ (বাসস) : সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে এ খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রোববার রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক। সরকার ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিএমইএ। এ সময় বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে তা ব্যবসাবান্ধব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। একই সঙ্গে বাজেটে তাদের চাওয়ার ৭০ শতাংশ পূরণ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন,পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ রাখার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তা রাখা হয়নি। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ৭৪ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি। তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষা খাতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি। ঘরে ঘরে শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি করা দরকার। কিন্তু তা হচ্ছে না। শিল্পখাতকে ধরে রাখতে উদ্যোক্তাদের লালন করতে হবে।
এ সময় গার্মেন্টস খাতের বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, তার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০টি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়েছে। ঈদের আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কোন কোন কারখানার মেশিনপত্র বিক্রি করেও পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে।
বাজেটে গার্মেন্টস খাতের জন্য বিদ্যমান নগদ সহায়তা এক শতাংশ হারে বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ জন্য কেবল গার্মেন্টস খাতের জন্য ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া ভ্যাট ছাড়সহ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক কমনো হয়েছে। অন্যদিকে রপ্তানির বিদ্যমান কর চারগুণ বাড়ানো এবং নগদ সহায়তার উপর উৎসে কর বিদ্যমান তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাজেটকে শিল্পের জন্য ইতিবাচকভাবেই দেখছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, মজুরি বৃদ্ধির প্রভাব আমরা এখন টের পাচ্ছি। দিন দিন প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। তিনি বলেন, সহায়ক নীতি সহায়তা পেলে চীনের ছেড়ে দেওয়া বাজারের মধ্যে ২৫ বিলিয়ন ডলার ধরার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি, পরিচালক শরীফ জহির। উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এম এ রহিম ফিরোজ, মশিউল আলম সজল প্রমুখ।