বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

284

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সেনাসদর-ভাষণ
সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের জন্য সব ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে এখন ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তাঁর সরকার শাসক হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী না, দেশের সেবক মনে করি।’
উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়াকে একটি অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ৮.১৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। আমরা আগামী দিনগুলোতে ডবল ডিজিট জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। ‘মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়ে গেলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে।’
তিনি বলেন, সরকার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৫ লাখ, ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট প্রণয়ন করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। এছাড়াও সরকার তার দূরদর্শী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলে থাকার সময় থেকেই খাত-ভিত্তিক উন্নয়নের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম।’ তিনি বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাজেট থেকে দেশের জনগণ উপকৃত হবে। তিনি ক্রমবর্ধমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির সাথে মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতের বাজেটগুলোতে সব সময়ই ৫ শতাংশ ঘাটতি দেখা গেছে এবং এটা কখনোই মাত্রা অতিক্রম করেনি।’ এ পর্যন্ত পাঁচ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করায় মানুষ দরিদ্রসীমার নিচ থেকে উঠে আসছে।
নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়ন অর্জণের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের মক্কায় ওআইসি’র ১৪তম সম্মেলনে আমাদের নারী ক্ষমতায়ন পরিস্থিতির প্রশংসা করা হয়েছে।’
দেশে ফেরার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পেছনে আমার দেশের জনগণের ওপর আস্থাই ছিল মূল চালিকা শক্তি। আমি যখন ফিরে আসি তখন দেশে বৈরী পরিবেশ বিরাজ করছিল। ১৯৭৫ সালের পর ১৯টি ক্যু প্রচেষ্টা হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমি দেশে ফিরি মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব ছিল। কিন্তু দেশে এখন সেই পরিস্থিতি নেই।’
বাসস/জিএ/অনুবাদ-কেএআর/২০৩৫/কেএমকে