প্রত্যেক মানুষ যাতে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

800

ঢাকা, ১৬ জুন, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ-উৎসব খুশিভরে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ যাতে উপভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
‘ঈদ মানেই আনন্দ-খুশি এ কথা উল্লেখ তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসব্যাপী সিয়াম সাধনের পর ঈদুল ফিতর খুশি ও সুখের বার্তা বয়ে আনে। তাই ঈদের খুশিকে সারাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিয়ে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের তাৎপর্যকে তুলে ধরতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি আজ শনিবার সকালে বঙ্গভবনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা খানম ঈদের জামাতের পর বঙ্গভবনে আজ সকাল ১০টায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠান চলে দুপুর পর্যন্ত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ ও শান্তিময় সমাজ গঠনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য অনন্য। তিনি বলেন, ঈদের জামাতে ধনী-গরীবসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ একই ছাতার নিচে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার মাধ্যমে ‘ঈদুল ফিতর’ সকলের মাঝে ঈদ-আনন্দকে ভাগভাগি করতে সহায়তা করে।
রাষ্ট্রপতি ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছায় দেশের এবং বিশ্বের সকল মানুষের কল্যাণ কামনা করেন।
তিনি বলেন, ঈদে বড় শহরগুলোতে বসবাসকারী মানুষ শিকড়ের টানে ফিরে যায় গ্রামে আপনজনের কাছে। মিলিত হয় আত্মীয়-স্বজনের সাথে। এতে করে তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় হয়। রাষ্ট্রপতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ঈদুল ফিতরের অন্তর্নিহিত শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ারও আহবান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপম-ুকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমত সহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিচারপতিগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, আইজিপি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকবৃন্দ, সিনিয়র সাংবাদিকগণ এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বাংলাদেশে কূটনৈতিক কোরের ডিন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।