নানা আয়োজনে বরণ করা হলো বর্ষাকে

378

ঢাকা, ১৫ জুন ২০১৯ (বাসস) : বাঙালির প্রাণের ঋতু বর্ষাকে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যধিয়ে রাজধানীতে বরণ করা হলো।
সকালে বাংলা একাডেমির নজরুলমঞ্চে উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানোনো হয়। শিল্পী ইবাদুল হকের সুরমুর্ছনায় জেগে উঠে বর্ষার আবাহন। এরপর বর্ষাঋতুর গানের সাথে একদল শিল্পীর নৃত্যের ঝংকারে দর্শক-শ্রোতারা মুগ্ধ হন।
ঢাকা মহানগরী উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত ‘বর্ষা উৎসব -২০১৯’ অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ও গবেষক ড. সফিউদ্দিন আহমেদ বলেন ,বর্ষাঋতু আমাদের প্রাণের মাঝে নানাভাবে শান্তির স্পর্শ আনে। আকাশ মেঘে ঢেকে যায়, উবে যায় তীব্র গরম। আমাদের সংস্কৃতি ও সংগীতে বর্ষা চিরকালই নতুন জাগরণ ঘটায়। মুক্তির অন্বেষণে প্রকৃতি সাজে সবুজের সমাহারে। আমরা কৃত হই এই ঋতুর বহতায়।
শিল্পী শংকর সাওজাল বলেন, সৌন্দর্যমন্ডিত বর্ষা আমাদের মাঝে প্রাণপ্রাচুর্যে মহিয়ান হয়ে উঠে। আমাদের যতো আকাক্সক্ষা ও চাওয়া সবকিছু বিলিয়ে দেয় এই ঋতু। এ কারণেই আমরা প্রতিবার বর্ষাকে বরণ করি আনন্দ আর ভালবাসা দিয়ে।
উদীচীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, প্রতিবার আমরা বর্ষাকে নানা আয়োজনে স্বাগত জানাই। এবার বর্ষা আসার আগেই বর্ষার রুপ বাঙালি জাতিকে শান্তির পরশ বিলিয়ে দিচ্ছে। মানুষের প্রার্থনাকে প্রকৃতিও ভালোবেসে উচ্ছ্বসিত করে। আমরা যেন সমাজ ও মানুষকে প্রকৃতির মতোই ধ্যান ও জ্ঞানে বরন করতে পারি।
বাংলা একাডেমির নজরুলমঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা, সংস্কৃতিজন শংকর শাওজাল, উদীচী ঢাকা মহানগরের সভাপতি নিবাস দে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান ও বর্ষা উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক তমিজউদ্দিন।
আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য, দলীয় ও একক সংগীত ও আবৃত্তি। সবশেষে ছিল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখার শিল্পীদের পরিবেশনা।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে উদযাপিত হয় ‘বর্ষা উৎসব-২০১৯’। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আলোচনায় অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তিতে বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা অংশ নেন।