বাসস বাজেট-১৪ : সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৬ হাজার ৮৮১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার

146

বাসস বাজেট-১৪
বাজেট-সমাজকল্যাণ
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৬ হাজার ৮৮১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার
ঢাকা, ১৩ জুন, ২০১৯ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী ২০১৯-২০ অর্থবছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য ৬ হাজার ৮৮১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন।
এরমধ্যে পরিচালন খাতে ৬ হাজার ৫৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার এবং উন্নয়ন খাতে ৩২৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এ প্রস্তাব করেন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫ হাজার ৫৮৩ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। পরিচালন ব্যয় ৫ হাজার ৩৩৯ কোটি ১০ লাখ এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৫৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ সালের সংশোধিত বাজেট ছিল ৪ হাজার ৮১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন,২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতা বাড়ানো হয়েছে।
এরমধ্যে প্রস্তাবসমূহ হলো: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানী ভাতা ১০ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করা,বয়স্ক ভাতা ভোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ থেকে ৪৪ লাখে বৃদ্ধি করা,বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ থেকে ১৭ লাখে বৃদ্ধি করা,সকল অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেয়ার লক্ষ্যে ভাতাভোগীর সংখ্যা ১০ লাখ থেকে ১৫.৪৫ লাখে বৃদ্ধি করা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তির সংখ্যা ৯০ হাজার থেকে ১ লাখে বৃদ্ধি,উপবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকায় উন্নীত,মাধ্যমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায় বৃদ্ধি,হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৬ হাজার জনে উন্নীত করা,বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৪ হাজার থেকে ৮৪ হাজারে বৃদ্ধি,ক্যান্সার,কিডনি,লিভার সিরোসিস,স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজারে বৃদ্ধি,চাÑশ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজারে বৃদ্ধি,দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীর সংখ্যা ৭ লাখ থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার জনে উন্নীত করা,কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তার আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৭৫ হাজারে উন্নীত করা।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সঠিক উপকারভোগী নির্বাচন নিশ্চিত করার উপর জোর দেয়া হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে সকল কর্মসূচির এমআইএস এবং উপকারভোগীর তথ্যভান্ডার প্রস্তুত এবং ভাতাভোগীদের কাছ থেকে সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে জি-টু-পি পদ্ধতিতে টাকা পাঠানো হচ্ছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন,দেশের সব অনগ্রসর,বঞ্চিত,অসহায়,অটিস্টিক এবং প্রতিবন্ধী ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র্ঋণ ও অনুদান কার্যক্রম,প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান ওয়ানস্টপ থেরাপি সেন্টার,ডিজঅ্যাবেলিটি জব ফেয়ার আয়োজন,দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে পল্লী সমাজসেবা(আরএসএস) কার্যক্রম,পল্লী মাতৃকেন্দ্র(আরএমসি) কার্যক্রম,দগ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন কার্যক্রম,শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম নামে চারটি সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে অতি দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রাক্কলনে এ খাতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাসস/এএসজি/এসএস/১৮০৮/শআ