কৃষি শুমারি উন্নয়ন ও অগ্রগতির যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করবে : স্পিকার

398

সংসদ ভবন, ১২ জুন, ২০১৯ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কৃষি শুমারি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করবে।
তার সাথে আজ সংসদ ভবনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন ।
সাক্ষাতকালে তারা ‘কৃষি শুমারি-২০১৯’ এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কৃষি শুমারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বলে উল্লেখ করেন। তিনি শুমারি চলাকালে প্রকৃত ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে গণনাকারীদের পরামর্শ দেন।
কৃষি শুমারির অংশ হিসেবে গণনাকারীরা স্পিকারের কাছ থেকে খাদ্যশস্য, মৎস্য ও পশুসম্পদ, ভূমি ব্যবহার, আবাদি জমির পরিমাণ, হাঁস-মুরগীর সংখ্যা, কৃষি যন্ত্রপাতি, খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
স্পিকার ৩৪৫ কোটি টাকার এ প্রকল্প গ্রহণ করায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে অভিনন্দন জানান এবং এর সফলতা কামনা করেন। কৃষিতে নারীরা এগিয়ে আসছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এবারের কৃষি শুমারিতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদকে অন্তর্ভূক্ত করায় এর পরিধিকে আরও বিস্তৃত করেছে। এ শুমারির মাধ্যমে ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল অবধি বাংলাদেশের কৃষির অবস্থা সম্পর্কে সম্মক ধারনা পাওয়া সম্ভব, যা পরবর্তীতে রেফারেন্স পয়েন্ট, গবেষণা এবং পলিসি গ্রহণে সহায়তা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান কৃষি শুমারি-২০১৯ এর সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে স্পিকারকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘কৃষি শুমারি- ২০১৯’ ৯ জুন, শুরু হয়ে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত চলবে। এ সময় গণনাকারীরা মাঠপর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন। দেশব্যাপী প্রায় দেড় লাখ তরুণ-তরুণী গণনাকারী এ কাজে অংশ নিচ্ছেন।
পরিসংখ্যান আইন ২০১৩, জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র এবং কৃষি ও গ্রামীণ পরিসংখ্যান কৌশলপত্র অনুযায়ী ‘কৃষি শুমারি-২০১৯’ কার্যক্রম চলছে।
এ সময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিক্সের (বিবিএস) মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন, প্রকল্প পরিচালক জাফর আহমেদ এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।