বাসস দেশ-১০ : সরকার উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী

169

বাসস দেশ-১০
কৃষিমন্ত্রী-কাজুবাদাম-নেতৃবৃন্দ
সরকার উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২জুন, ২০১৯ (বাসস) : লাভজনক কৃষির কথা মাথায় রেখে উচ্চ মূল্যের ফসল আবাদের প্রতি মন্ত্রণালয় গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কাজুবাদাম উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন-এর নের্তৃবৃন্দ কৃষিমন্ত্রীর সাথে আজ তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি মো. হারুন।
কৃষিমন্ত্রী এসময় বলেন, উচ্চ মূল্যের কাজু বাদাম পুষ্টিকর এবং মজাদার খাদ্য। এটি উৎকৃষ্ট শিশু খাদ্যও বটে, যার চাহিদা সারা বিশ্বে দিন দি ন বাড়ছে। এর এক একটি গাছ ৫০ কেজি করে গ্রীণ হাউস গ্যাস (কার্বন ডাইঅক্সাইড) শোষণ করে। তাই এ গাছটিকে পরিবেশের বন্ধুও বলা চলে। বাদাম উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণে জনবলের প্রয়োজন হয়। এতে বিশেষ করে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাশাপাশি থানচি, রোয়াংছড়ি ও সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটিতে কাজুবাদাম চাষ হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে এই চাষ হচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় কৃষকের লাভের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও সরকারের সর্বাত্বক সহযোগিতা থাকবে। কাজুবাদাম আবাদ মোটামুটি সহজ। এটি চাষের ক্ষেত্র প্রসারিত করার পরামর্শ দেন তিনি। ভিয়েতনাম থেকে উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা আমদানির ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে কাজু বাদাম চারায় সরকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। আরো অধিক সংখ্যক খামারিকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, সকল উপযোগি পতিত জায়গায় এর চাষ করার তাগিদ দেন তিনি। প্রক্রিয়াজাতসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানান মন্ত্রী। প্রয়োজনে খামারিদের বিদেশে অভিজ্ঞতা অর্জন ও প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজু বাদামের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এবং ক্রেতা।
কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কৃষির জন্য যা যা করার তার সব কিছুই করবে। কৃষিপণ্যটি রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্যের তালিকায় উঠে এসেছে এই কৃষিপণ্যটি। যে সব দেশে কাজুবাদাম বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় সে সব দেশে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের তাগিদ দেন মন্ত্রী।
নের্তৃবৃন্দের মধ্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি শফিক উদ্দিন, কাজী শাহাদাত হোসেন, মো. মহিউদ্দিন, মো. কামাল উদ্দিন,সাইফুদ্দিন হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
বাসস/সবি/এমএন/১৮০৫/কেকে