রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে আমিরাত

449

ঢাকা, ১০ জুন, ২০১৯ (বাসস) : আমিরাত রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ (ইআরসি) জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সপ্তাহব্যাপী প্রচারণা চালিয়ে ১৮ মিলিয়নের চেয়ে বেশি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে।
আজ ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দূতাবাস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে দেশব্যাপী প্রচারণা চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কয়েক হাজার ব্যক্তি অনুদান ও দাতব্য সংস্থা থেকে এ তহবিল সংগ্রহ করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশনায় ও ইউএই নের্তৃবৃন্দের সহযোগিতায় ইআরসি এই প্রচারণা চালায়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাঈদ মোহাম্মদ আল মোহাইরি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের তাদের সবাইকে বিশেষত নারী ও শিশুদের সহায়তা করা দরকার। এই মুহূর্তে আমাদের সরকার রোহিঙ্গা মুসলিম ভাইদের সহায়তায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার তাদের অনুদান সংগ্রহ করছে।’
রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য খাবার, আশ্রয় ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে।
ইউএই রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জন্য প্রথম দেশ হিসেবে ইউএই মানবিক সহায়তা শুরু করে বলে আমরা গর্বিত। ইউএনএইচসিআর এর সহযোগিতায় ইউএই রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প পরিচালনা করে যাচ্ছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএই বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির জন্য কক্সবাজারে অবস্থিত ইউএই-বাংলাদেশে ভলেন্টিয়ার ফিল্ড হসপিটালের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনা করছে। এটা রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ফিল্ড হসপিটাল পরিচালনাকারী প্রথম আরব দেশ।
২০১৮ সালের গোড়ার দিকে কক্সবাজারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর্থিক সহায়তায় আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত একটি মালয়েশিয়ান-সৌদি-আমিরাতি ফিল্ড হসপিটালও স্থাপিত হয়।
এছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য ১শ’টি কুয়া খনন করা হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ইআরসি’র তত্ত্ববধানে প্রকল্পটি শুরু করেছে।
অধিকন্তু ইউএই রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের মায়েদের অপুষ্টি দূর করার লক্ষ্যে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
ঢাকায় অবস্থিত ইউএই দূতাবাস এই সকল ত্রাণ অভিযান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই ইউএই’র বিভিন্ন সংগঠন এই ত্রাণ কর্মকান্ডগুলো পরিচালনা করে যাচ্ছে।