বাসস ক্রীড়া-৭ : ডি ভিলিয়ার্স ইস্যুতে হতাশ দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গিবসন

131

বাসস ক্রীড়া-৭
ক্রিকেট-বিশ্বকাপ
ডি ভিলিয়ার্স ইস্যুতে হতাশ দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গিবসন
সাউদাম্পটন, ৯ জুন ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বকাপে এবি ডি ভিলিয়ার্সের খেলার আগ্রহ নিয়ে সম্প্রতি শুরু হওয়া বিতর্ক নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ওটিস গিবসন।
অবসর ভেঙ্গে বিশ্বকাপে খেলার আগ্রহের কথা গিবসন ও দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকে জানিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন তথ্য প্রকাশ হবার পর বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। বিশ্বকাপে শেষ মুহূর্তে যদি তাকে দলে নেয়াও হতো সেটা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজে খেলা অন্য খেলোয়াড়দের প্রতি অন্যায় হতো বলে দাবী জানিয়েছেন গিবসন।
বুধবার ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় ম্যাচে পরাজিত হবার তিক্ত স্বাদ পেয়েছে প্রোটিয়ারা। আর তখনই ডি ভিলিয়ার্সের দলভূক্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ভারতের বিপক্ষে পরপর তিন ম্যাচে পরাজয়ের পর সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে বাকি ছয়টি ম্যাচেই জয়ের বিকল্প নেই ডু প্লেসিসের দলের।
এই পরিস্থিতিতে দলের বাইরের একটি ইস্যু নিয়ে এতটা বাড়াবাড়ি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না গিবসন। তার মতে দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ের সামনে এখন শুধুমাত্র ম্যাচ নিয়েই মনোযোগী হওয়া উচিত। শনিবার সাউদাম্পটনে ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের সামনেও গিবসনকে ডি ভিলিয়ার্স ইস্যু নিয়েই বেশি কথা বলতে হয়েছে। সেখানে গিবস জানিয়েছেন তিনি নিজে বছরের শুরুতে ডি ভিলিয়ার্সকে বিশ্বকাপের জন্য প্রশ্ন করেছিলেন। গিবসন বলেন, ‘এবি আমাকে ফোন করেছিল, আমার মনে আছে ঐদিনই বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা ছিল। ঐ মুহূর্তে অনেক কিছুই মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমরা তখন তাকে ছাড়াই বিশ্বকাপের দল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। তারপরেও ডিসেম্বর পর্যন্ত একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু ঐ সময়ের পর আসলেই সবকিছু দেরী হয়ে গিয়েছিল। সে জানতো সে যদি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বকাপে খেলতে চাইতো তবে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার বিপক্ষে ১০টি ম্যাচ তার জন্য ও আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ মার্চের পর থেকে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত কোন ম্যাচ ছিল না। কিন্তু তারপরেও সে তার ইচ্ছার কথা জানাতে পারতো।
ব্যক্তিগতভাবে আমি জানতাম অনেকেই এবি’কে এই দলে দেখতে চেয়েছিল যা সে নিজেও হয়ত চায়নি। কারণ আমি বিশ্বাস করি এবি যদি খেলতে চাইতো তবে সে অবশ্যই দলে থাকতো।’
বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কোচের দায়িত্ব থেকে গিবসন সড়ে যাচ্ছেন বলে গুজব রয়েছে। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান পরিস্থিতি ও ডি ভিলিয়ার্স ইস্যু সেই সম্ভাবনাকে আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও গিবসন মনে করেন গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচের আগে মাঠের বাইরের এই ধরনের ইস্যুগুলো পুরো দলকে বিব্রত করে তুলছে। গিবসন বলেন, ‘এবি অবসরে যাবার পর থেকে আমরা প্রায় প্রতিটি সিরিজেই জয়ী হয়েছি, তখন কিন্তু এবিকে নিয়ে এত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়নি। হঠাৎ করেই একটি বাজে সপ্তাহ কাটানোর পর এবিকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সে নিজেই তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখানে আমাদের কিছুই বলার নেই।’
বাসস/নীহা/১৬৩০/মোজা/স্বব