বাজিস-৯ : ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত রাঙ্গামাটি

314

বাজিস-৯
রাঙ্গামাটি- পর্যটন
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটি, ৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : প্রতিরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাঙ্গামাটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা বনভূমি, পাহাড় ও হ্রদ ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন।
শহুরে যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে ঢাকা এবং অন্য জেলাগুলো থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা বেশি হলেও আশপাশের জেলা ও উপজেলাগুলো থেকেও মানুষ ঈদের ছুটিতে আসছেন রাঙ্গামাটিতে।
রাঙামাটি জেলার নয়নাভিরাম কাপ্তাই হ্রদ, সুবলং প্রাকৃতিক ঝর্ণা, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফের স্মৃতিসৌধ, পর্যটন মোটেল, পুলিশের পর্যটনস্পট পলওয়ে পার্ক, ঝুলন্ত ব্রীজ, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যাণ, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট, উপজাতীয় যাদুঘর, জেলা প্রশাসকের বাংলো, ঐতিহ্যবাহী জুম্ম ক্ষেতসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির বৈচিত্রপূর্ন জীবন ও সংস্কৃতি দেখতে শত শত পর্যটক এই জেলায় এসেছেন।
শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হোটেল এবং সরকারী পর্যটন কমপ্লেক্সের রুমের বুকিং ভালো বলে জানা গেছে। ঢাকা থেকে বেড়াতে কবির হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসে রাঙামাটি খুব ভালো লাগছে। তবে খাবারের দাম ও হোটেল ভাড়া সহনীয় হওয়া প্রয়োজন।’ চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা শেফালী আক্তারও প্রায় একই রকম মতামত প্রকাশ করেন।
রাঙামাটি শহরের রির্জাভবাজার এলাকার হোটেল মতিমহলের মালিক শফিউল আজম জানান, তাদের বুকিং বেশ ভালো এবং তারা পর্যটকদর সেবা দিতে প্রস্তুত।
রাঙ্গামাটিতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া বলেন, ‘পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা আমাদের টার্গেটের কাছাকাছি পৌঁছেছি।’
বাসস/সংবাদদাতা/২০২৫/এমকে