যুদ্ধাপরাধ মামলায় এ পর্যন্ত ৭০ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন, ৩৭ মামলায় রায়

258

ঢাকা, ১ জুন ২০১৯ (বাসস): মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৭০ মামলায় পূর্নাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তদন্ত সংস্থা। এর মধ্যে ৩৭ মামলায় বিচার শেষে রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. আবদুল হান্নান খান এ কথা জানান। রাজধানীর ধানমন্ডিতে বৃহস্পতিবার তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলায় ৭০ তম পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ৭০ তম মামলায় আসামী হলেন-ফেনীর -ফেনী সদরের মজলিশপুরের তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তজু (৬৭), বরইয়া এলাকার মো.আবু ইউসুফ (৭১) ও উত্তর গোবিন্দপুর এলাকার নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আহমদ (৭৩)।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে এবার ৩৮তম রায় অপেক্ষমান রয়েছে। এ মামলায় মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) ও তার ছেলে হত্যাকান্ডসহ তিনটি গণহত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে যে কোন দিন রায় ঘোষণা করা হবে। গত ২৪ এপ্রিল মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আদেশ দেয়। এ আগে আরো ৩৭ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আনা জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম জাতীয় পাটির (জাপা) সাবেক নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সার আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের প্রাক্তন আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, প্রাক্তন দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের প্রাক্তন নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দিয়েছিল। আরো বেশকটি মামলা আপিলে নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।