বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত

403

ঢাকা, ৩১ মে, ২০১৯ (বাসস) : বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ ও এর সহযোগী সংস্থাসমূহের উদ্যোগে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।
এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘টোবাকো এন্ড লাঙ্গ হেলথ’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবে মাদকবিরোধী সংগঠন মানস আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ সভায় তার জীবনের কথা স্মরণ করে বলেন, সাড়ে সাত বছর বয়সে তিনি তার বাবার কাছে জীবনে ধূমপান না করার যে শপথ নিয়েছিলেন, তা আজীবন অক্ষুন্ন রেখেছেন। এসময় তিনি সকল শিশু-কিশোর-তরুণদের আজীবন ধূমপান থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, কার্যকর কর ও মূল্য পদক্ষেপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম অত্যন্ত কম। ফলে দেশের তরুণ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী খুব সহজেই তামাক ব্যবহার শুরু করতে পারে।
আসন্ন বাজেটে কার্যকর করারোপের মাধ্যমে তামাক পণ্যের দাম জনগণ, বিশেষ করে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
জানা গেছে তামাক ব্যবহারের কারণেবাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায ১ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায় । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ি দীর্ঘমেযাদি শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ, যা একইসাথে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুর ২৮ শতাংশের জন্য দায়ী।
২০১৭ সালে এই হার বেড়ে ৪দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৩ সালে ছিল মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। সাম্প্রতিক গবেষণায় রাজধানী ঢাকার প্রাথমিক স্কুলে পড়–য়া ৯৫ শতাংশ শিশুর দেহে উচ্চমাত্রার নিকোটিন পাওযা গেছে । যার মূল কারণ পরোক্ষ ধূমপান। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযাযী বাংলাদেশে এখনও ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ (৩৫দশমিক ৩ভাগ) প্রাপ্তবযস্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে।
প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) প্রতি বছরের ন্যায এবারও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে।