বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে : রাষ্ট্রপতি

218

ঢাকা, ২৮ মে, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সূচিত পররাষ্ট্রনীতির অনুসরণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আগামীকাল ২৯ মে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে তিনি আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৯’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
এ উপলক্ষে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদেরও তিনি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৯৮৮ সাল থেকে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ¦ল হয়েছে এবং বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা মিশনে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্বের প্রতি একনিষ্ঠতা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের শান্তিরক্ষী সদস্যরা আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার এই ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে – এ প্রত্যাশা করি।
তিনি ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।