ঈদ উপলক্ষে কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন পাবনার তাঁত কারিগররা

168

পাবনা, ২৭ মে, ২০১৯ (বাসস) : ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন পাবনার তাঁত পল্লি¬গুলোর বাসিন্দারা।ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনের বাহারি শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা। পুরুষ কারিগরদের পাশাপাশি ব্যস্ত নারী কারিগররাও। কেউ সুতা কাটছেন, কেউ সানা বাঁধছেন, কেউ সুতা রং করছেন, আবার কেউবা শুকাচ্ছেন। যেন কারও ফুরসত নেই।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, জামদানি, সুতি কাতান, চোষা, বেনারসি, শেট নামে শাড়ি তৈরি হচ্ছে পাবনার তাঁত পল্লীগুলোতে। এছাড়া বিভিন্ন নবাবী নামের লুঙ্গিও তৈরি করছেন তাঁতিরা। জেলার ঈশ্বরদী, জালালপুর, একদন্ত, চাচকিয়া, নতুনপাড়া, দোগাছি, নিশ্চিন্তপুর, শিবপুর, বগদী, সাঁথিয়া, লক্ষীপুরসহ জেলার প্রায় ৬০ টি গ্রামের তাঁত পল্লীতে ঢুকলে খট খট আওয়াজই জানান দেয় ব্যস্ততা।
ঈশ্বরদীর বেনারসির বেশবিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এখানকার কারিগররা আরও ব্যস্ততার মধ্যদিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।এ ছাড়াও চাচকিয়ার লুঙ্গি ও দোগাছির সুতির শাড়ি সারাদেশে সমাদৃত।
বর্তমানে তাঁতপলি¬গুলোতে বিভিন্ন দামের বাহারি শাড়ি তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে কটন, কাতোয়াল, জুটনেট, উপেরা কটন, উপেরা সিল্ক, উপেরা কাতোয়ালের কদর রয়েছে সবচেয়ে বেশি। দেশের চাহিদা মিটিয়েও মধ্যপাচ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে এখানকার শাড়ি।
এদিকে, আসন্ন ঈদকে ঘিরে তাঁত কারখানাগুলোতেও শ্রমিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। আগের চেয়ে শ্রমিকদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ঈদ উপলক্ষে তাঁত পল্লিগুলোতে কাজের সুযোগ থাকে বেশি। বাড়তি আয়ের জন্য অন্যান্য জেলা থেকেও শ্রমিকরা এসে এখানে কাজ করছেন।
ঈশ্বরদীর বেনারসি ব্যবসায়ী জাবেদ আলী জানান, এখানকার শাড়ীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।এখান উৎপাদিত শাড়ি সারাদেশ সমাদৃত। সবচেয়ে বেশী চাহিদা রয়েছে রেশমী, কাতান, দুলহান,ব্যানারসী, জুটজামদানীর। এখানকার তৈরি শাড়ি বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।