বাংলাদেশ-চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির চুক্তি স্বাক্ষর

382

ঢাকা, ২২ মে, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে একটি যৌথ কমিশন গঠনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড জোরদারে গতকাল মঙ্গলবার প্রাগে ট্রেড প্রমোশন এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন শিরোনামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং চেক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে সেদেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী কারেল হাবলিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মূল উদ্দেশ্য হলো যৌথ কমিশন গঠন করে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য রাষ্ট্রটির সঙ্গে চমৎকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং গত অর্থ বছরে ৫শত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে এবং দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষরে আগে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চেক প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সি প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষন, আইটি, জুট এবং অন্যান্য সেক্টরে সহযোগিতা বাড়াতে তার দেশের আগ্রহের কথা ব্যাক্ত করেন।
বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রি টিপু মুনশি সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগে বাংলাদেশের দেয়া আকর্ষনীয় সুবিধা তুলে ধরেণ।
তিনি বাংলাদেশে দেয়া এই সুবিধা লুফে নিতে বিনিয়োগ করতে চেক ব্যবসায়িদের প্রতি আহবান জানান। তিনি চেক ব্যবসায়িদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইউরোপে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা, দক্ষ জনশক্তি, স্থানীয় বাজার এবং অন্যান্য সুবিধা থাকায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করায় আপনারা লাভবান হরেন। বাণিজ্য মন্ত্রী চেক চেম্বার অব কমার্স সভাপতি ভøাদিমির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে পাওয়ার জেনারেশন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, আইসিটি, পাটজাত পণ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য আকর্ষনীয়। ফরেন ডাইরেক্ট ইভেষ্টমেন্ট (এফডিআই)-এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার উদারনীতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে বিনিয়োগ করে চেক বিনিয়োগকারীগণ উৎপাদিত পণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিউটি ফ্রি সুবিধা নিয়ে রপ্তানি করতে পারবেন। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিটিকেলস, আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংখাতে বিনিয়োগ করলে চেক বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হতে পারবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী এর আগে স্লোভেনিয়া সফর করেন এবং ‘ওয়াল্ড বি ডে’ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি স্লোভেনিয়ার কৃষি, বন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আলেকজেন্ডার পিভেকের সাথে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রী স্লোভেনিয়ার পোর্ট অফ কোপার পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশের সাথে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে এ পোর্ট ব্যবহারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।