ঈদ উপলক্ষে রেলের আগাম টিকিট বিক্রি আজ থেকে শুরু

680

ঢাকা, ২২ মে, ২০১৯ (বাসস) : আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ঘরমুখো মানুষের পরিবহনের জন্য রেলের আগাম টিকিট বিক্রি আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথমদিন দেয়া হবে ৩১ মে’র টিকিট।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বুধবার সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাসস’কে জানান, রেলের এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি বুধবার থেকে শুরু হয়ে ২৬ মে পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই টিকিট বিক্রি করা হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবারই প্রথম অগ্রিম টিকেট ঢাকা স্টেশন, বিমানবন্দর, বনানী, তেজগাঁও স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়া থেকে বিক্রয় করা হবে।
ঈদুল ফিতরের অগ্রিম টিকিট বিক্রয় ও ব্যবস্থাপনায় টিকিট বিক্রয়ের রুট সমূহ হচ্ছে : ঢাকা (কমলাপুর)-সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেন ভায়া যমুনা সেতু, বিমানবন্দর স্টেশন – চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সকল আন্ত:নগর ট্রেন, তেজগাও স্টেশন- ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সকল আন্ত:নগর ট্রেন, বনানী স্টেশন-নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন, ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন)-সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সকল আন্ত:নগর ট্রেন।
রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন গত বৃহস্পতিবার রেলভবনে ঈদুল পবিত্র ফিতর উপলক্ষে রেলওয়ের প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ বা ৬ জুন দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। তবে আগামী ৫ জুন ঈদ ধরে রেলওয়ের কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘২২ মে দেয়া হবে ৩১ মে’র টিকিট, ২৩ মে দেয়া হবে ১ জুনের, ২৪ মে দেয়া হবে ২ জুনের, ২৫ মে দেয়া হবে ৩ জুনের এবং ২৬ মে দেয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।’
রেলপথমন্ত্রী রেলের ফিরতি টিকিট বিক্রি ২৯ মে শুরু হয়ে ২ জুন পর্যন্ত চলবে জানিয়ে বলেন, ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের, ৩০ মে দেওয়া হবে ৮ জুনের, ৩১ মে দেওয়া হবে ৯ জুনের, ১ জুন দেওয়া হবে ১০ জুনের এবং ২ জুন দেওয়া হবে ১১ জুনের ফিরতি টিকিট।
এছাড়াও অ্যাপসের মাধ্যমে ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে স্পেশাল ট্রেনের কোন সীট মোবাইল অ্যাপে পাওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ঈদের পাঁচদিন আগে ৩১ মে থেকে রেলওয়েতে ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ফলে ৪৮টি বিশেষ ট্রিপ পরিচালিত হবে।
টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সকল বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র‌্যাব এর সহযোগিতায় টিকেট কালোবাজারী প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে।’
তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি রুখতে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেখিয়ে একজন সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। ঈদের আগে ও পরে মালবাহী ট্রেন বন্ধ থাকবে।