বিদেশে যাওয়ার নামে একজনেরও প্রাণহানি দেখতে চাই না : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

371

ঢাকা, ২১ মে, ২০১৯ (বাসস) : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিদেশে যাওয়ার নামে একজনেরও প্রাণহানি দেখতে চাই না।
আজ রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিবাসন খাত নিয়ে অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বীকৃতি হিসেবে ১২ সাংবাদিক পেলেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘প্রত্যেক প্রবাসীই নিয়ম মেনে বিদেশ যাবেন। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম ছাড় দেয়া হবে না। আর অবৈধভাবে বিদেশ যেতে গিয়ে নানাভাবে দুর্ভোগের শিকার হন। গণমাধ্যম এ ব্যাপারে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোক দেশের বাইরে থাকেন। এরা প্রত্যেকেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে ভূমধ্যসাগর পাড় হয়ে ইউরোপে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন করুণ মৃত্যু কাম্য নয়। লোকজন যখন শোনে ইউরোপে যাওয়ার পর টাকা দিতে হবে তখন অনেকেই উৎসাহিত হয়। তারা জানে না এভাবে যেতে গিয়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে। সাংবাদিকদের এই বিষয়গুলো তুলে ধরা উচিত। একজনও যদি অবৈধপথে ইউরোপে পৌঁছাতে পারে সেই ঘটনা কোন দৃষ্টান্ত হতে পারে না।
অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, অভিবাসন খাতে ধাপে ধাপে প্রতারিত হয় সাধারণ মানুষ। নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। গণমাধ্যম রাডারের মতো কাজ করতে পারে। সাংবাদিকদের উচিত ঘটনার আগেই এমনভাবে সংবাদ প্রকাশ করা উচিত যাতে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে সাংবাদিকতা হতে হবে মানুষের কল্যাণে। বিশেষ করে অভিবাসন খাতে সাংবাদিকদের আরও বেশি সংবেদনশীল হতে হবে।
অভিবাসন খাত নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন যুগ্ম সচিব মোঃ ফজলুল করিম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঢাকার অ্যাক্টিং হেড অব কোঅপারেশন দোর্তে বোসে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশ মিশনের প্রধান গিওরগি গিগাওরি, ব্র্যাকের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক কেএম রুহুল আমিন, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান।