বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান : দেশের পুরানো চলচ্চিত্রকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার : তথ্যমন্ত্রী

831

ঢাকা, ২০ মে, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের পুরানো চলচ্চিত্রকে নতুন উদ্যোমে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সরকারের তথ্যমন্ত্রণালয় এখন থেকে বেশ জোরেসোরে কাজ শুরু করেছে। দেশের সিনেমা হলগুলোকে পর্যায়ক্রমে আধূনিকায়ন করা হবে। তিনি আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনের প্রজেকশন হলে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২০২১ সালে অনুষ্ঠেয় ’’ফিয়াফ’’ কংগ্রেসের প্রস্তুতি শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রনালয়ের সচিব আব্দুল মালেক। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন, চলচ্চিত্র গবেষক,লেখক ও শিক্ষক অনুপম হায়াৎ। আলোচক ছিলেন-চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ-এর সাবেক মহাপরিচালক শচীন্দ্র নাথ হালদার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিলের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন ও ইয়াকুব আলী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এর মহাপরিচালক (ডিজি) বিধান চন্দ্র কর্মকার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে সিনেমা হল ও তার দর্শক সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সিনেপ্লেক্রে মানুষ যায়, কিন্তু সিনেমা হলে দর্শকরা যায় না।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। রূচির পরিবর্তন হয়েছে। ধীরে ধীরে আমরা উত্তোরণের (উন্নয়নের) দিকে এগিয়ে যাচিছ। নতুন প্রজন্মের মানুষকে কি দেয়া যায় সেটি চলচ্চিত্র পরিচালকরা তৈরি করবেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ফিলম্ম আর্কাইডকে আগামী দিনে দেশের নতুন প্রজন্মের মানুষের জন্য ধরে রাখতে হবে। দেশের সংস্কৃতি আর ঐতির্য্য ধরে রাখতে হবে। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ও দেশ কেমন ছিল ৫০ থেকে ১০০ বছর পর সেটি যদি নতুন প্রজন্ম চানতে চায় তাহলে তারা আর্কাইভ থেকে জানতে পারবে।
বর্তমান সরকারের সফলতা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমাদের দেশের চলচ্চিত্র আর্কাইভ নতুন করে আবার পূর্ণতা ফিরে পেয়েছে। আমাদের অবকাঠামো আছে এবং সেটা আগের চেয়ে বৃদ্বি পেয়েছে। এটিকে যে কোন মূল্যে ধরে রাখতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে এক সময় চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ছিল। সেটি নানা কারণে পিছিয়ে পড়েছিল। বর্তমান সরকার সেটির আধুনিকায়নে কাজ শুরু করেছে। এর কোন বিকল্প নেই। বেশির ভাগ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি যেন হলে দেখানো হয়, সে লক্ষ্যে এখন থেকে কিছু কাজ আমরা শুরু করেছি। সিনেমা হলের মালিকদেরকে সরকার এখন থেকে আর্থিক সুবিধা সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দেবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দেশে ৪০ লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। আর এখন ২০১৯ সালে ৯ কোটি ১৫ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
সেমিনারে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ফিতা কেটে ও পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনে পুরানো দিনের চলচ্চিত্রের ছবি গ্যালারি ও ছবির পোষ্টার ঘুরে দেখেন। এসময় নায়িকা দিলারা জামান, অঞ্জনাসহ অন্য শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।