রেলের অচল বগি সচল করা হচ্ছে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে

637

চট্টগ্রাম, ১৭ মে ২০১৯ (বাসস) : পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ হয়ে পড়ে থাকা ৩৯টি বগি মেরামত করে সচল করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপে এসব অচল রেল বগিকে সচল করার কাজ চলছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ১০ থেকে ১৫ বছর আগে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া ১৭টি বগি পরিপূর্ণ মেরামত শেষে ইতিমধ্যে রেলের বহরে যুক্ত করা হয়েছে। এতে সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকারও বেশি।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগে অতিরিক্ত ব্যবহার এবং নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে রেলওয়ের ৩৯টি বগি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বগি বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়ে ছিল। রেলওয়ের পুরোনো এসব বগি মেরামতের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ নেয় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপে পুরাতন বগিগুলোকে মেরামত করে রং লাগিয়ে নতুনভাবে সচল করা হচ্ছে জানিয়ে শিফট ইনচার্জ শংকর সাহা বলেন, ‘গত ছয় মাসে মেরামত শেষে ১৭টি বগি পরিপূর্ণ মেরামত শেষে রেলের বহরে যুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে মেরামতের অপেক্ষায় রয়েছে নষ্ট হয়ে যাওয়া আরও ২২টি বগি।’
তিনি জানান, প্রতিটি বগির ত্রিশ থেকে পয়ঁত্রিশ বছর কার্যকাল মেয়াদ থাকে। বড় কোনো সংস্কার ছাড়াই এসব বগি নতুন করে মেরামত করে আরো দশ থেকে পনেরো বছর চলাচল করতে পারে।
রেলওয়ে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, “মেরামতের শতভাগ কাজই আমরা করছি। এই বগি পরবর্তীতে ‘সোনার বাংলা’, ‘তূর্ণা’ ও ‘গোধূলী’-এর মতো আন্ত:নগর ট্রেনে যুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে ১৩টি বগি মেরামত শেষে বিভিন্ন লোকাল ট্রেনে সংযোজন করা হয়েছে। আরো চারটি বগি একেবারে নতুনের মতো করে মেরামত শেষে সংযোজন করা হয়েছে অভিজাত ট্রেন সোনার বাংলা ও সুবর্ণ এক্সপ্রেসে।”
তিনি জানান, পুরানো অচল বগি মেরামত করে সচল করতে গড়ে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু একেকটি নতুন বগি বিদেশ থেকে ক্রয়ে খরচ হয় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ১৭টি বগি সচল করা হয়েছে। ফলে সরকারের ৫০ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হয়েছে। আগামীতে আরও ১০ থেকে ১২টি বগি সচল করা হবে।
প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এসব বগি মেরামতের কাজ চলে উল্লেখ করে রেলওয়ে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক এফ এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘একটি বগির কার্যকাল মেয়াদ থাকে ৩০ থেকে ৩৫ বছর। মেরামত হওয়া এসব বগি বড় কোনো সংস্কার ছাড়াই ১০ থেকে ১৫ বছর স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবে।’