ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলো জাতিসংঘ

203

হোদেইদা (ইয়েমেন), ১২ মে, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : ইয়েমেনের লোহিত সাগরের তিনটি বন্দর থেকে শনিবার হুতি বিদ্রোহীরা সরে যেতে শুরু করেছে। এ খবর নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। তবে সরকার সমর্থক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, বিদ্রোহীরা বন্দর ছাড়ার ভান করছে।
বন্দরগুলো থেকে বিদ্রোহীদের সরে যাওয়া ইয়েমেনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার ও ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে গত বছরে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
হুতিরা ওই বন্দরগুলো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘হ্যাঁ। এটা শুরু হয়েছে।’
হুতিদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বন্দরগুলোকে কোস্টগার্ডের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিদ্রোহীরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে এগুলো দখলে রেখেছিল।
এএফপি’র এক আলোকচিত্রী সালিফ বন্দর থেকে হুতি যোদ্ধাদের চলে যেতে দেখেছেন।
তবে হোদেইদার গভর্ণর আল হাসান তাহের বলেন, ‘জাতিসংঘ ও সরকারি পক্ষের কোন পর্যবেক্ষণ ছাড়াই হুতি যোদ্ধারা হোদেইদা, সালিফ ও রাস ঈসা বন্দর হস্তান্তরের মাধ্যমে নতুন খেলা খেলছে।’
তাহের আরো বলেন, হুতি বিদ্রোহীরা এই বন্দরগুলোকে হস্তান্তরের পরও মার্কিন দূত মার্টিন ক্রিফিথস বিজয় চান।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। চুক্তির প্রতিটি শর্ত অবশ্যই পূর্ণ হতে হবে। বিশেষত হুতিরা যাদের কাছে বন্দরগুলো হস্তান্তর করছে সেই সৈন্যদের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।’
হোদেইদা লাখো বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষার প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা সরবরাহের প্রধান বন্দর।
জাতিসংঘের রিডিপ্লয়েমেন্ট কমিটির প্রধান জেনারেল মাইকেল লোলেসগার্ড এক বিবৃতিতে বলেন, মঙ্গলবার বিদ্রোহীদের প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে।
বুধবার হোদেইদার ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ব্রিফ করা হবে।
বিদ্রোহীদের সুপ্রিম রিভোল্যুশনারি কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলি আল-হুতি সরকারের সঙ্গে করা অস্ত্রবিরতি চুক্তি পুনরায় কার্যকর করার জন্য স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় হুতি যোদ্ধাদের ওই বন্দরগুলো থেকে প্রত্যাহারের অঙ্গীকার করেছেন।
সরকার ডিসেম্বরের চুক্তির আওতায় তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হোদেইদা নগরীর কয়েকটি এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে দেরি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
চুক্তিতে দুপক্ষেরই একই সাথে যোদ্ধা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
গত বছর সুইডেনে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটিকে ইয়েমেন যুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাল সুযোগ বলে আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
লড়াই প্রায় থেমে গেলেও উভয়পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। যুদ্ধরত পক্ষগুলোর সম্মুখভাগে যোদ্ধা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।
ইয়েমেনের তথ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বিদ্রোহী প্রত্যাহার হয়েছে কিনা তার যাচাইয়ে যৌথ নিরীক্ষার দাবি জানান।