বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত

246

ঢাকা, ৮ মে, ২০১৯ (বাসস) : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ বুধবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সচেতনতা মূলক আলোচনা সভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘অনাগত সন্তানকে দিতে থ্যালাসিমিয়া থেকে সুরক্ষা বিয়ের আগে করুন রক্তে ইলেক্ট্রোফরেসিস পরীক্ষা’। থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। এ রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। রক্তে যদি স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন কম থাকে তাহলে থ্যালাসেমিয়া হয়। এর ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্থতা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি ঘটতে পারে
বাংলাদেশ থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব থ্যালাসিমিয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক সচেতনতা মূলক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডাঃ সৈয়দা মাসুমা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এভাবেই বাড়ছে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ৩ ভাগ মানুষ বিটা থ্যালাসেমিয়ার বাহক এবং প্রায় ৫ ভাগ মানুষ হিমোগ্লোবিন-ই এর বাহক। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় বিটা থ্যালাসেমিয়া এবং হিমোগ্লোবিন-ই ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি।
এদিকে থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন।