রবি ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মজয়ন্তী সামনে রেখে পদচারণায় মুখর দক্ষিণডিহি

714

খুলনা, ৫ মে, ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মজয়ন্তীকে সামনে রেখে জেলার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্রনাথ জাদুঘর মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে।
খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এই দক্ষিণডিহি গ্রামে নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুর বাড়ি। রবি ঠাকুর ও তার পত্নী মৃণালিনী দেবীর স্মৃতি রক্ষার্থে এই দক্ষিণডিহিতে ২০১২ সালে রবীন্দ্র জাদুঘর স্থাপন করা হয়।
বৃহস্পতিবার জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় এই জাদুঘর ও দক্ষিণডিহিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শণার্থীরা আসছেন।
বরিশালের একটি বেসরকারী কলেজের শিক্ষক ও রবীন্দ্র প্রেমী শ্রাবন্তী সেন বলেন, দক্ষিণডিহি শ্বশুর বাড়িতে কবিগুরু অসংখ্য কবিতা ও গান রচনা করেন, সে স্মৃতিবিজোড়িত স্থানটি নিজ চোখে দেখার জন্য আমি এখানে এসেছি।
খুলনার প্রতœতত্ত্ব বিভাগের সহকারি পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান জানান, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশ বিদেশের মোট ২ লাখ ৩৫ হাজার দর্শনার্থী জাদুঘরটি পরিদর্শন করেছেন এবং এ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৯০ হাজার ৮০৫ টাকা।
রবি ঠাকুরের শ্বশুর বাড়িটিকে ‘রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’ জাদুঘরে রূপান্তরে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ২০১১-১২ অর্থবর্ষে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে।
তিনি বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিকগণ গত বছর বাড়িটির বাম দিকে রসুইখানা সনাক্ত করে এবং প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ কার্যক্রম শেষে তা দর্শণার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
জাদুঘরের নিরাপত্তার স¦ার্থে গতবছর একটি আনসার ক্যাম্প এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য এবছর তিনজন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সাইফুর রহমান।
প্রতœতত্ত্ব বিভাগের খুলনা কার্যালয় জানায়, বহুল স্মৃতি বিজোড়িত রবি ঠাকুরের শ্বশুর বাড়িটি প্রতœতত্ত্বের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটির সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য চলতি অর্থবছরে ৩০ লাখ তিন হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রতœতত্ত্ব বিভাগের খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা বলেন, গত ২০১১-১২ অর্থ বছরে জাদুঘরে মূল ভবনের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে একটি সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হয়েছে।
দ্বিতল এই ভবনের নীচ তলায় দুটি কক্ষ এবং দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ রয়েছে।
বাড়ির পাঠাগারে ৫ শতাধিক বই এবং রবীন্দ্রনাথের অনেক দুর্লভ ছবি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে যদি রবি ঠাকুরের আরো স্মৃতি বিজোড়িত জিনিস আনা যায় তবে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
মিতা বলেন, ৩ দশমিক ২৪ একর জমির ওপর এই বাড়িটি গত ২০১০ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে দেওয়া হলেও এখনও কিছু জমি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বুঝে পায়নি।