বাসস দেশ-৪৩ : জনকল্যাণকর বিচার ব্যবস্থার অন্যতম শক্তি লিগ্যাল এইড : প্রধান বিচারপতি

272

বাসস দেশ-৪৩
লিগ্যাল এইড-প্রধান বিচারপতি
জনকল্যাণকর বিচার ব্যবস্থার অন্যতম শক্তি লিগ্যাল এইড : প্রধান বিচারপতি
ঢাকা, ৫ মে, ২০১৯ (বাসস) : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং দরিদ্রবান্ধব ও জনকল্যাণকর বিচার ব্যবস্থার অন্যতম শক্তি হলো লিগ্যাল এইড বা আইনগত সহায়তা প্রদান।
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’- ২০১৯- উপলক্ষ্যে সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রথান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, এমপি। “উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা : চলমান প্রক্রিয়া ও প্রত্যাশা” শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ,এম আমিন উদ্দিন ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের, যা হবে মানুষের ন্যায় বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল।
২৮ এপ্রিলকে লিগ্যাল এইড দিবস ঘোষণা করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রাপ্তি এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার একটি সার্বজনীন মৌলিক মানবাধিকার।
তিনি বলেন, ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’র যে অমীয় বাণী আমরা বারবার প্রতিধ্বনি করি, আইনগত সহায়তা ব্যতিরেকে তা কখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আইনগত সহায়তাকে এক্সেস টু জাস্টিজ এর অন্যতম স্তম্ভ বলা যায়।
তিনি আরো বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় আইনগত সহায়তা পাওয়া কোনো দান বা করুণা নয়; এটা দরিদ্র ও অসহায় মানুষের অধিকার, আর রাষ্ট্রের এক অপরিহার্য দায়িত্ব।
তিনি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আইনজীবীগণ তিনভাবে আইন সহায়তা কার্যক্রমে অবদান রাখতে পারেন। প্রথমতঃ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইন সহায়তা বিষয়ে আইনজীবীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে নানাবিধ নীতি প্রণয়ন করতে পারে যেমন- প্রত্যেক আইনজীবীকে বছরে কমপক্ষে দু’টি মামলা বিনা ফিতে পরিচালনা করতে হবে। অধিকন্ত‘, কেন্দ্রীয়ভাবে লিগ্যাল এইড বিষয়ক কর্মসূচী চালু করতে পারে। দ্বিতীয়তঃ স্থানীয় বার এসোসিয়েশন বারের সদস্যদেরকে আইন সহায়তার বিষয়ে উৎসাহিত করতে পারে। তৃতীয়তঃ আইনজীবীগণ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিনা ফি-তে অথবা নামমাত্র ফি-তে দরিদ্র জনগোষ্টিকে আইনি সেবা দিতে পারেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অসহায় বিচারপ্রার্থীদের যত দ্রুত আইনি সেবা দেয়া যাবে ততবেশি তারা আইন সহায়তার সুফল পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সত্যিকারভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্যানেল আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের আরো বেশি সংবেদনশীল হতে হবে।
সরকারি স্টীকার সম্বলিত মামলাসমূহ দায়ের থেকে নিষ্পত্তি পর্যন্ত জড়িত সকল পক্ষ সর্বোচ্চ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নিষ্পত্তির চেষ্টা করবেন বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেখতে হবে যাতে অসহায় মানুষ অযথা হয়রানির শিকার না হয়।
বাসস/এএসজি/ডিএ/এমএসএইচ/২১১০/-জেহক