বাসস দেশ-১৭ : দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

338

বাসস দেশ-১৭
জাপানি রাষ্ট্রদূত-দুদক চেয়ারম্যান- সাক্ষাৎ
দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১১ জুন, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইসু ইজুমির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম এবং দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান এককভাবে সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র।
ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। এ সময় দুদক চেয়ারম্যান জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের সব ধরনের কার্যক্রম নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তির রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয়কে কমিশন নূন্যতম গুরুত্ব দেয়না, বরং অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতাই কমিশনের একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিগত দুই বছরে ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার, প্রতিনিয়তই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান এবং ফাঁদ মামলা পরিচালনার বিষয় উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশন ‘শুণ্য সহিষ্ণুতা’ নীতি অবলম্বন করেছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইসু ইজুমি কমিশনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতি এবং ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই জাপানের ব্যবসায়ীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বিনোয়োগ পরিবেশ হয়রানিমুক্ত থাকলে, বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ ঢেউ আসবে জানিয়ে-রাষ্ট্রদূত এক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন বিনিয়োগ তথা ব্যবসার পরিবেশ সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসে যদি কোনো জাপানি কোম্পানি ঘুষ বা দুর্নীতির শিকার হন বা হতে যাচ্ছেন এমন কোনো ঘটনা তাৎক্ষনিকভাবে কমিশনকে জানালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জাতীয় অভিযোগ জানানোর জন্য কমিশনের দরজা আপনাদের জন্য উন্মুক্ত জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন-১০৬ এ যে কোনো অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রয়োজন হলে আমার নিজের ফোনেও আপনি অভিযোগ জানাতে পারেন।
জাইকার সহযোগিতায় পরিচালিত গণশুনানিসহ বিভিন্ন দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম অবহিত করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠাবোধ প্রোথিত করার জন্য দেশের প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে “সততা সংঘ”, আট শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে “সততা স্টোর” স্থাপন করেছে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন সু-বচন সংবলিত শিক্ষা উপকরণ যেমন-খাতা, কলম, জ্যামিতি বক্স, স্কেল, ছাতা ইত্যাদি বিতরণ করছে। তিনি বলেন, নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিনির্মাণেই কমিশন এ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দুদক চেয়ারম্যান দুদকের বিভিন্ন কার্যক্রমে জাইকার অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, কমিশনের কর্মকর্তাদের তদন্তের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রদানে জাপানের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এসময় রাষ্ট্রদূত দুদক চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের সাথে সম্পৃক্ত। প্রশিক্ষণসহ দুদকের সার্বিক কার্যক্রমে জাপানের সহযোগিতারও আশ^াস দেন রাষ্ট্রদূত।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৮১০/কেএমকে