চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব বাদল রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

841

ঢাকা, ১১ জুন ২০১৮ (বাসস) : বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও দেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত বাদল রহমানের আজ ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী।
দেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব বাদল রহমান ২০১০ সালের ১১ জুন একষট্টি বছর বয়সে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। ১৯৪৯ সালের ৪ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি চলচ্চিত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত হন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে সুষ্ঠুধারার ছবি নির্মাণের নানা বিষয় নিয়ে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি ভারতের ‘ চলচ্চিত্র ও টিভি ইন্সটিটিউট ’ থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনিই প্রথম দেশে শিশু-কিশোরদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
বাদল রহমান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম শিশু-কিশোর চলচ্চিত্র ‘ এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী ’সহ কূেয়কটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশে সৃষ্টিশীল ও চিরায়তধর্মী চলচ্চিত্র আন্দোলনে ব্যাপক পরিসরে কাজ করেন। এ জন্যে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ’। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই সংগঠনের সভাপতি ছেলেন।
বাদল রহমান পরিচালিত শিশু-কিশোর চলচ্চিত্র হচ্ছে,এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী,কাঁথাল বুড়ির বাগান, ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকির সাথে যৌথভাবে পরিচালনা করেন ‘ প্রত্যাশার সূর্য ’ ছবিটি।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মোবিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি ‘ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র এবং বিকল্প আধুনিকতা ’শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা বেলায়েত হোসেন মামুন।
আলোচনায় অংশ নেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, চিত্র পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হায়দার রিজভী।
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী বলেন, বাদল রহমান দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য প্রায় চার দশক নানাধর্মী কাজ করে গেছেন। সুষ্ঠু ও সৃষ্টিধর্মী ছবি নির্র্মাণের জন্য বিপুল কাজ করেছেন। তার পরিচালিত ‘ এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী’র মতো আর কোন শিশুতোষ চলচ্চিত্র আমরা পাচ্ছি না। এই বন্ধ্যাত্ব কাটিয়ে উঠা দরকার।
লিয়াকত আলী লাকী তার ভাষণে বাদল রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন,বাদল রহমান এমন এক সময়ে চলচ্চিত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন,যখন দেশ মাত্র স্বাধীন হয়েছে এবং অসংখ্য ছবি তৈরি হচ্ছিল। তার এবং অন্যান্যদের আন্দোলনের কারণেই আমরা স্বাধীনতাত্তোর অসংখ্য সৃষ্টিশীল চলচ্চিত্র পেয়েছি।