সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমানা তৈরি করা বা পাহারা দেওয়ার সুযোগ নেই : মোস্তাফা জব্বার

438

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমানা তৈরি করা বা পাহারা দেওয়ার সুযোগ নেই। ডিজিটাল দুনিয়ায় যোগ্যতা দিয়ে টিকে থাকা এবং যোগ্যতা অর্জন করার জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রযুক্তিকে সামনে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমনভাবে বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে যা অন্য যেকোন গণমাধ্যমের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ’-টিএমজিবি আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন: গণমাধ্যমের সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অ্যাটকো সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু এবং অ্যামটব সেক্রেটারি জেনারেল ব্রি. জে. (অব.) এস এম ফরহাদ এবং টিএমজিবি আহ্বায়ক মুহম্মদ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে ডিজিটাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বড় এবং সহজ পার্থক্যটি হলো, মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্টার‌্যাক্ট করতে পারে। মানুষ ইন্টার‌্যাক্ট করতে পারে বলেই সেটি বিলিয়নস অভ ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার ফেসবুক বিজ্ঞাপনকে ক্রসবর্ডার উল্লেখ করে বলেন, দুনিয়ার যে কোন প্রান্ত থেকে মানুষ বিজ্ঞাপন দিচ্ছে – প্রচারিত হচ্ছে। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন যেরকম চ্যালেঞ্জিং, ফেসবুকের নিরাপত্তাও একইভাবে চ্যালেঞ্জিং।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিনতম কাজ। একাজটি এককভাবে করা আরও কঠিন। সেই কারণে প্রযুক্তিকে ঠেকানো সম্ভব হবে না। প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চেষ্টা করা হবে। এক্ষেত্রে চীনের নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম উইচেট এর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় স্থানীয় বিষয়বস্তু দিয়ে এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে যা বাংলাভাষী মানুষদের জন্য আকর্ষণ তৈরি করতে পারে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। আয়ারল্যান্ড এবং মহারাষ্ট্রের পুলিশ বাংলাদেশের সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। একদিন বাংলাদেশের তৈরি সামাজিক মাধ্যম নিয়ে সারা দুনিয়া আলোচনা করবে।