বাসস দেশ-১২ : বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : স্পিকার

125

বাসস দেশ-১২
কর্মশালা
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : স্পিকার
ঢাকা, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য এবং বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ¯্রােতের সাথে সম্পৃক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।
স্পিকার বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকে যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণ তাদের নিজ-নিজ অবস্থান থেকে যুক্ত হয়ে অবদান রাখলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ অর্জন সহজ হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সোমবার রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘এনগেজিং উইথ বাংলাদেশ পার্লামেন্ট অন এগ্রিকালচার, ফুড এন্ড নিউট্রেশন সিকিউরিটি টু অ্যাচিভ এসডিজি আন্ডার দ্য চ্যালেঞ্জ অব ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাউ) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
স্পিকার বলেন, উৎপাদন ও ভোগ পরস্পর-পরস্পরের সংগে যুক্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়। ভূমি ও পানির সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বাঁধাগ্রস্থ হয়, ফলশ্রুতিতে খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাউ’র পার্টনারশীপ এক্সপার্ট জিন লিওনার্ড তোয়াদি।
স্পিকার বলেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টি মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০৩০ সালের মধ্যে ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’ এবং ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। এসকল লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছিল ২০১৫ সালে।
তিনি বলেন, এখনই সময় এসডিজি লক্ষ্য কতটুকু পূরণ হয়েছে এবং বাকিটা কিভাবে পূরণ করতে হবে সে সকল বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দেওয়া। সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আজকের অঙ্গীকার হওয়া উচিৎ বলেও স্পিকার উল্লেখ করেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, এ ধরনের কর্মশালা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং সংসদ সদস্যগণকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনকে সহজতর করবে।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ২ টি সেশনে ৯০ জন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
দ্বিতীয় সেশনে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৬৫৫/-এসই