বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ : নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠাতে কানাডার প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

288

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১
শেখ হাসিনা-ট্রুডো-বৈঠক
নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠাতে কানাডার প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর
কুইবেক, কানাডা, ১০ জুন, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনী নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কানাডা সরকারের কাছে তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে রোববার অনুষ্ঠিত বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী নূর চৌধুরীকে দ্রুততার সঙ্গে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে তার প্রতি অনুরোধ জানান বলে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লা পেতিত ফ্রন্টেন্সে অনুষ্ঠিত দু’প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দু’নেতার মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানো এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠনোর ব্যাপারে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়ে ট্রুডোকে বলেন, ‘কানাডায় বসবাসকারী নূর চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সরাসরি গুলি করে হত্যাকারী দু’জনের মধ্যে অন্যতম। সে একজন আত্মস্বীকৃত খুনী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেও দন্ডপ্রাপ্ত।’
প্রেস সচিব জানান, জবাবে জাস্টিন ট্রুডো সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বিষয়টা বুঝতে পারি যে, এটা আপনার জন্য কতটা বেদনার।’ সংশ্লিষ্ট কানাডীয় কর্মকর্তাগণ বিষয়টি নিয়ে একান্তে কাজ করছেন উল্লেখ করে ট্রুডো বলেন, নূর চৌধুরী কানাডার নাগরিকত্বের মর্যাদা পেতে পারে না এবং সে কানাডার নাগরিকও নয়। পাশাপাশি কানাডার প্রধানমন্ত্রী এ সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে তাঁর দেশের প্রচলিত আইনগত বিষয় ব্যাখ্যা করেন।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশকে সাহায্য এবং সহযোগিতার জন্য কানাডা সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান জাতিগত নিধন এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটায় বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় গ্রহণের বিষয়টিতে উদ্বেগ জানিয়ে জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকার জন্য গ্লোবাল অ্যাফেয়াস কানাডা, সেদেশের সিনেট, হাউজ অব কমন্স এবং বিশেষ করে কানাডার গণমাধ্যমের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
শেখ হাসিনা এ সময় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে সফল প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হলেও চুক্তির বাস্তবায়নের ব্যাপারে তারা নীরব রয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে তাদের পাহাড়ের ওপরকার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে সরিয়ে একটি নিরাপদ দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাসস/একেএইচ/এফএন/১২৪০/আরজি