জামায়াতের সংস্কারপন্থীদের নতুন মঞ্চ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকতে বললেন নাসিম

382

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, দেশের সকল মানুষকে জামায়াতের নতুন মঞ্চ সম্পর্ক সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তাদের যে নতুন মঞ্চ গঠিত হয়েছে, সেটা আমরা দেখেছি। এই নতুন মঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতারা। শিবিরের ইতিহাস খারাপ ইতিহাস, ঘৃন্য, জঘন্য ইতিহাস।’
নাসিম আরো বলেন, আমরা ১৪ দলের পক্ষ থেকে বলতে চাই, দেশের সব মানুষকে এই মঞ্চ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ভাল করে জানার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী জঙ্গী তৎপরতার বিরুদ্ধে আগামী ৩০ এপ্রিল বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই তলায় ১৪ দলের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেকোন মূল্যে অব্যাহত রাখা হবে। কারণ তাঁর নেতৃত্বে আমরা শান্তির দেশ পেয়েছি। আমরা সারা দুনিয়ায় শান্তি চাই। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্মের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা কোন ধর্মই সমর্থন করে না। তাই আসুন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
তিনি বলেন, শান্তির বার্তা নিয়ে ১৪ দল রোজার মাসে দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ করবে। শুধুমাত্র ধর্মের কথা বলে নিরীহ মানুষ হত্যা হতে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম-বর্ণ ও দেশ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেন রক্তের হলিখেলা শুরু হয়েছে। এদেশে হামলার আশঙ্কা এখনো আছে। তাই সবার সতর্ক থাকতে হবে।
নাসিম বলেন, বিএনপির নির্বাচিত এমপিদের সংসদে আসা শুরু হয়েছে। বাকিরাও সংসদে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে কতটা ব্যর্থ হলে নির্বাচনের পর জয়ী ব্যক্তিরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যান।
এর আগে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।