বাসস দেশ-৩১ : আগামী অর্থবছরে সারের মোট চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টন

186

বাসস দেশ-৩১
সার – পরামর্শ সভা
আগামী অর্থবছরে সারের মোট চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টন
ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : আগামী অর্থ-বছরে (২০১৯-২০২০) দেশে মোট সারের চাহিদা নিরুপণ করা হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টন। এরমধ্যে শুধু ইউরিয়া সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। আজ রোববার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত
‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শ’ সংক্রান্ত প্রথম সভায় এ তথ্য জানানো হয়। কৃষিমন্ত্রী ড.মো:আব্দুর রাজ্জাক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বলা হয়, মোট সারের চাহিদার অর্ধেক ইউরিয়া সার হলেও বাকী অর্ধেকের মধ্যে রয়েছে, টিএসপি সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন, ডিএপি ৯ লাখ মেট্রিক টন, এমওপি সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন, এমএপি ৫০ হাজার মেট্রিক টন, এনপিকেএস ৭০ হাজার মেট্রিক টন জিপসাম ৪ লাখ মেট্রিক টন, জিংক সালফেট ১লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন,অ্যামোনিয়া সালফেট ১০ হাজার মেট্রিক টন, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ৮০ হাজার মেট্রিক টন, ও বোরন ৪১ হাজার মেট্রিক টন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার,সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, এইচ এন আশিকুর রহমান, মো. আব্দুল হাই, মনজুর হোসেন ও মো: জোয়াহেরুল ইসলাম এবং কৃষি সচিব,শিল্প সচিব, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ব্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সভায় অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় ফসলের নিবিড়তা, আবাদকৃত ফসল বিশেষভাবে ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি,উচ্চ মূল্য জাত ফসল, ফলবাগান স্থাপনে, সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও বিগত অর্থবছরের চাহিদা বরাদ্দ ও ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য সারের চাহিদা নিরূপণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে নন-ইউরিয়া সারের পরিমিত ব্যবহার বিবেচনা করে চাহিদা নিরপণ করা হয়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সারের চাহিদার বিপরিতে সমন্বিত ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি’র মোট বিক্রি হয়েছিল ৪৮ লাখ মেট্রিক টন।
সভায় জানানো হয়, আমদানিতব্য সারের শিপিং টলারের (সর্বোচ্চ প্লাস/মাইনাস ১০ শতাংশ) বিবেচনায় নিয়ে প্রকৃত আমদানিকৃত সার ভর্তুকির অন্তর্ভূক্ত হবে।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯০০/কেএমকে