বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করেই টেকসই উন্নয়ন : প্রধানমন্ত্রী

221

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
শেখ হাসিনা-নিরাপদকর্ম পরিবেশ
নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করেই টেকসই উন্নয়ন : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করেই টেকসই উন্নয়নের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের বৈশ্বিক, নৈতিক ও আইনি বাধ্যবাধকতার আলোকে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলব-ইনশাআল্লাহ।’
শেখ হাসিনা জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামীকাল রোববার ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৯’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে এ উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন,টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগ শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই তাদের জীবনমান ও কর্মক্ষেত্রের উন্নয়ন আবশ্যক। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ কর্মপরিবেশ, টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ’- অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকরণে দিবসটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটিয়ে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সঠিক বার্তাও পৌঁছে দিতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন,শ্রমিকের অকৃত্রিম বন্ধু, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শ্রমজীবী, বঞ্চিত ও মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সকল কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত যতেœর সাথে সে সময় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলেন এবং অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে প্রদান করেন।
শেখ হাসিনা বলেন,জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কর্মক্ষেত্রে শোভন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২০০৬ ও ২০১৮ সালে দু’বার বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধনসহ ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রণয়ন করেছে। শ্রমিকদের চিকিৎসায় ও তাঁদের সন্তানের উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন,ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ কে সামনে রেখে বর্তমান সরকার মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রমজীবী মানুষের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই শিল্পায়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে শিল্প-কারখানার মালিক, বিনিয়োগকারী, ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/জেডআরএম/১৯২৫/-আসচৌ